চট্টগ্রাম, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪ , ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পে-পার্কিংয়ে আগ্রহী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন

প্রকাশ: ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১০:৩৮ : পূর্বাহ্ণ

 

চট্টগ্রাম নগরীতে যত্রতত্র পার্কিং বন্ধ করতে পে-পার্কিং ব্যবস্থা চালু করতে চায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। যার ফলে সড়কের নির্দিষ্ট জায়গায় অর্থের বিনিময়ে যানবাহন রাখা যাবে। তবে লাখো যানবাহনের ভীড়ে ব্যস্ত নগরী চট্টগ্রামে পে-পার্কিং ব্যবস্থা যানজট নিয়ন্ত্রণে কতটুকু সফল হবে তা নিয়ে সন্দিহান ট্রাফিক বিভাগ। এই পদ্ধতি চালু করার আগে বিস্তারিত গবেষণা করে নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা।

 

 

প্রায় ৭০ লাখ মানুষের মহানগরী চট্টগ্রামে প্রতিদিনই বাড়ছে যানবাহনের চাপ। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি-বিআরটিএ’র হিসেব মতে, নগরীতে প্রতিদিন নতুন করে নিবন্ধিত হচ্ছে শতাধিক যানবাহন। আর চলাচল করছে অন্তত ১৩ হাজার সিএনজি অটোরিক্সা, ৪০ হাজার গাড়ি ও সাড়ে তিন হাজার গণপরিবহন এবং কয়েক লাখ রিক্সা। কিন্তু সে তুলনায় নেই পর্যাপ্ত পার্কিং সুবিধা। ফলে সড়কের উভয়পাশে যত্রতত্র গাড়ি রাখা হচ্ছে। প্রায়সময় লেগে থাকে অসহনীয় যানজট। নষ্ট হয় মূল্যবান কর্ম ঘণ্টা।

 

 

তাই বন্দরনগরীর প্রধান সড়কগুলোতে যত্রতত্র পার্কিং ঠেকাতে ‘পে-পার্কিং’ ব্যবস্থা চালু করতে চায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এ ব্যবস্থা চালু হলে সড়কের পাশে নির্দিষ্ট স্থানে অর্থের বিনিময়ে গাড়ি রাখা যাবে। তবে নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে করা যাবে না পার্কিং। এর মধ্য দিয়ে যত্রতত্র গাড়ি রাখার নৈরাজ্য কমবে, সেইসাথে নগরীতে যানজটও কমে আসবে বলে মনে করেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র।

 

 

তবে, পে-পার্কিং ব্যবস্থা চালুর আগে নগরীর কোথায় কোথায় পার্কিং সুবিধা চালু করা সম্ভব, কিভাবে আদায় করা হবে পার্কিং ফি, এবিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পরামর্শ দিয়েছেন সিএমপি  ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার জয়নুল আবেদীন।

এদিকে শুধুমাত্র রাস্তায় পে-পার্কিং ব্যবস্থা চালু না করে, উন্নত দেশের মতো বহুতল পার্কিং ব্যবস্থা চালুর পরামর্শ দিয়েছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা। বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে পার্কিং এর নিজস্ব ব্যবস্থা রাখার উপরও গুরুত্ব দিয়েছেন তারা।

নগরীর শপিংমল, হাসপাতাল, বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবনগুলোতে বিল্ডিং কোড মেনে পর্যাপ্ত পার্কিং স্পেস রাখতে বাধ্য করতে না পারলে পে-পার্কিং ব্যবস্থা সুফল বয়ে আনবে না বলে মত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

 

Print Friendly and PDF