প্রকাশ: ২ এপ্রিল, ২০২৩ ১০:২৫ : পূর্বাহ্ণ
বে-টার্মিনালের একটি অংশ নির্মাণ এবং নবনির্মিত পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল-পিসিটি পরিচালনায় গ্লোবাল অপারেটর নিয়োগের বিষয়টি আলোচনায় ছিল অনেকদিন ধরেই। এর মধ্যে হঠাৎই সামনে আসে বন্দরের ভেতরে এনসিটি পরিচালনাও যাচ্ছে গ্লোবাল অপারেটরের হাতে।
পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ-পিপিপির ভিত্তিতে অতিসম্প্রতি আরব আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ডকে এনসিটি পরিচালনায় নীতিগত অনুমোদন দেয় সরকার।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, সরকার আমাদের যেরকম নির্দেশনা দিবে আমরা সেরকমই কাজ করবো।
বন্দরের জিসিবিতে ১২টি বার্থে রয়েছে ১টি করে অপারেটর। সিসিটি-এনসিটি পরিচালনায় রয়েছে সাইফ পাওয়ারটেক। সবাই দেশী প্রতিষ্ঠান। প্রশ্ন উঠেছে, কেন সেখানে বিদেশি প্রতিষ্ঠান আনতে হচ্ছে। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে বার্থ অপারেটর এবং শ্রমিক-কর্মচারীদের।
এ বিষয়ে বার্থ অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফজলে ইকরাম চৌধুরী বলেন, লোকাল অপারেটররা বন্দরের অংশ। বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে তাদেরও অবদান ছিল। এ জায়গায় যদি গ্লোবাল অপারেটর আসে তবে সেক্ষেত্রে তো আমাদের বলার কিছুই থাকে না।
সিবিএ-র সাধারণ সম্পাদক নায়েবুল ইসলাম ফটিক বলেন, আমরা মনে করি যে এসব ক্ষেত্রে কর্মচারীরা চাকরি হারাবে। তাই চট্টগ্রাম বন্দর-দেশ-কর্মচারীদের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে কোন প্রাইভেট অপারেটর আসলে আমরা কোন দিন মেনে নিব না।
বন্দর ব্যবহারকারীদের মতে, দেশি-বিদেশি যে অপারেটরই কাজ করুক, প্রাধান্য পাওয়া উচিত উৎপাদনশীলতার বিষয়টি। তবে বিদেশি অপারেটর আসলে অবশ্যই সব সরঞ্জাম তাদেরই থাকতে হবে।
শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. আরিফ বলেন, ভাল-ভাল গ্লোবাল অপারেটর আসলে প্রতিযোগীরা হবে, ফলে দক্ষতা আরও বাড়বে। তবে সেক্ষেত্রে যারা দক্ষ আছেন তাদের কি হবে সেটাও ভাবার দরকার আছে।
সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আগে, সংশ্লিষ্ট সবপক্ষের মতামত নেয়া উচিত বলেও মনে করেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।
সূত্র – চ্যানেল২৪