চট্টগ্রাম, রোববার, ৫ মে ২০২৪ , ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস

প্রকাশ: ২৫ মার্চ, ২০২৪ ১০:১৯ : পূর্বাহ্ণ

 

৫৩ বছর আগে বাংলাদেশে বাঙালি নিধনযজ্ঞে মেতে উঠেছিল পাকিস্তানী শাসকরা। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নামে পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর বাঙালি নিধনযজ্ঞের লক্ষ্য ছিল সকল অর্থে এদেশের বাঙালিকে নিশ্চিহ্ন করা। প্রথম লক্ষ্যবস্তু ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী। গণহত্যার সেই বীভৎসতা মানব সভ্যতায় বিরল। আন্তর্জাতিক ভাবে এই গণহত্যার কথা প্রচারে দুর্বলতা রয়েছে, তাই স্বীকৃতি আদায়ের পথটাও দীর্ঘ হচ্ছে- এমনটা মনে করেন মুক্তিযুদ্ধের গবেষকরা।

 

বিশ্বজুড়ে জেনোসাইড ও গণহত্যার বহু ইতিহাস আছে। তবে উনিশশ’একাত্তর সালে স্বাধীনতাকামী বাঙালি জাতিকে নিধন ও নিশ্চিহ্ন করতে পাকিস্তানী সামরিক শাসকদের জেনোসাইডের ধরন একেবারেই আলাদা। তেপান্ন বছর আগের একাত্তরের ২৫শে মার্চ রাতে শুধু ঢাকা শহরেরই অল্প কিছু এলাকায়, অল্প সময়ে যে বিশাল বাঙালি জনগোষ্ঠীকে হত্যা করা হয়, তা’ও বিরল।

 

প্রথম আক্রমণেই পাকিস্তানী সেনাবাহিনী স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রাণকেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’শ শিক্ষার্থী, ২০ জন শিক্ষক ও ৩৩ জন কর্মচারীকে হত্যা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানায় ইপিআর, শাখাঁরী বাজার, নীলক্ষেত, আজিমপুরসহ আরও কিছু বেসামরিক আবাসিক এলাকায় চলে নির্বিচারে গণহত্যা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির পন্ডিত অধ্যাপক, একাত্তরের শহীদ জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতার কন্যা মেঘনা গুহ ঠাকুরতা তখন দশম শ্রেণীর ছাত্রী। তেপান্ন বছরেও তার কাছে সেই নৃসংসতার ক্ষত একটুও কমেনি।

 

পাকিস্তানী হানাদারদের ব্যাপক গণহত্যাযজ্ঞের স্বীকৃতি, বিচার ও ক্ষতিপূরণের বিষয়টি আজও বাংলাদেশের দীর্ঘশ্বাস বলে জানান মুক্তিযুদ্ধ, জেনোসাইড যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক গবেষক শাহরিয়ার করিব।

বিশ্বমানবতার স্বার্থে ইতিহাসে বাঙালির বিরুদ্ধে পাকিস্তানীদের এই নৃশংস জেনোসাইডের স্বীকৃতির প্রয়োজনীয়তা দেখেন গবেষকরা।

 

Print Friendly and PDF