চট্টগ্রাম, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪ , ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চায়ের ‘নিখুঁত’ স্বাদ পেতে যোগ করতে হবে লবণ: গবেষণা

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি, ২০২৪ ৫:৫৬ : অপরাহ্ণ

 

চা বলতে সুগন্ধযুক্ত ও স্বাদবিশিষ্ট এক ধরনের উষ্ণ পানীয়কে বোঝায়। যা চাপাতা পানিতে ফুটিয়ে বা গরম পানিতে ভিজিয়ে তৈরি করা হয়। চায়ে আরও ভালো স্বাদ পেতে হলে এতে মেশাতে হবে লবণ। এক মার্কিন গবেষকের গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে যুক্তরাজ্যে। এমনকি বিষয়টি নিয়ে মার্কিন দূতাবাসও কথা বলেছে।

অধ্যাপক মিশেল ফ্রাঙ্কল তার এক গবেষণার বরাত দিয়ে বলছেন, অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে একটু লবণ যোগ করে নিলেই নিখুঁত চায়ের স্বাদ পাওয়া যাবে। কিন্তু ব্রিটিশরা এর যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছেন না।

বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়েছে চা-প্রেমী ব্রিটিশদের মধ্যে। এমনকি মার্কিন দূতাবাসও কূটনৈতিক পর্যায়ে কথাবার্তা বলছে। চায়ে লবণ যোগ করার কথা নিয়ে মার্কিন দূতাবাসের বিবৃতির পর গবেষক ফ্র্যাঙ্কল বিবিসিকে জানিয়েছে, অবশ্যই আমি কূটনৈতিক কোনো ঘটনা ঘটাতে চাইনি।

তিনি বলেন, চায়ে লবণ যোগ করার ধারণাটি নতুন নয়। অষ্টম শতাব্দীর চীনা পাণ্ডুলিপিতেও এ উপাদানের কথা বলা হয়েছে। ফলে অধ্যাপক ফ্রাঙ্কল মূলত তার চায়ের রেসিপি নিখুঁত করার ব্যাপারেই বিশ্লেষণ করছিলেন।

ফ্র্যাঙ্কল বলেন, নতুন বিষয়টি হল রসায়নবিদ হিসেবে এই উপাদান নিয়ে আমাদের বোঝাপড়া। এক চিমটি লবণ চায়ের তিক্ততা কমাতে পারে। এটি অবশ্য চায়ে চিনি যোগ করার মত নয়। আমি মনে করি, লোকজন চায়ে লবণের স্বাদ নিতে পারবে কিনা, সেটি নিয়ে তারা শঙ্কিত। তিনি বলেন, এটা পরীক্ষার জন্য ঠিক আছে। আমার কিচেনেও এটা নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছি। আপনার ভেতরের বিজ্ঞানমনস্কতাকে জাগিয়ে তুলুন।

তবে ফ্র্যাঙ্কল খোলা মন নিয়ে চা-প্রেমী ব্রিটিশদের তার গবেষণা নিয়ে পূর্বধারণা করার অনুরোধ জানিয়েছেন। বিষয়টি তিনি তার নতুন বই ‘স্টিপড: দ্য কেমিস্ট্রি অব টি’-তে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। রয়্যাল সোসাইটি অব কেমিস্ট্রি বইটি প্রকাশ করছে।

পেনসিলভানিয়ার ব্রাইন মাওর কলেজের রসায়ন বিভাগের এই অধ্যাপক বলেন, ‘আমার ই-মেইল ভরে গেছে। ঘুম থেকে ওঠার পর চায়ে লবণ যোগ করা নিয়ে এত বেশি মানুষকে যে কথা বলতে দেখব, সেটি কল্পনাও করিনি।’

যুক্তরাজ্যে মার্কিন দূতাবাস এক্সে লিখেছে, ‘আমরা যুক্তরাজ্যের মানুষদের নিশ্চিত করতে চাই, ব্রিটেনের জাতীয় পানীয়তে লবণ যোগ করার অকল্পনীয় ধারণা মার্কিন সরকারী নীতি নয়, আর সেটি কখনো হবেও না।’

 

 

সুত্র: চ্যানেল২৪

Print Friendly and PDF