চট্টগ্রাম, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪ , ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিষেধাজ্ঞায় পড়লে বাংলাদেশ থেকে পোশাক নিলেও অর্থ দেবে না ক্রেতা প্রতিষ্ঠান

প্রকাশ: ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২:৪২ : অপরাহ্ণ

 

শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় নতুন শ্রমনীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে করে দুশ্চিন্তায় পড়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা। এবার সেই দুশ্চিন্তা আরও কিছুটা বেড়ে গেল আরেকটি বার্তায়। কারণ, বাংলাদেশ যদি কোনো নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হয় তাহলে পণ্য না নেয়া কিংবা তার অর্থ পরিশোধ না করার মতো একটি শর্ত যুক্ত করে তৈরি পোশাকের ঋণপত্র দিয়েছে একটি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান।

আর এ বিষয়টি চ্যানেল 24 অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো একটি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান তাদের ঋণপত্রের সাধারণ শর্তে বলেছে, বাংলাদেশ যদি কোনো নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে তাহলে তারা পণ্য নেবে না। এমনকি যদি সেই পণ্য জাহাজীকরণের পর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়, তাহলে অর্থ দেবে না ক্রেতা প্রতিষ্ঠান।

 

তবে কোন ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ও কোন তৈরি পোশাক কারখানাকে এমন শর্ত দেয়া হয়েছে, তা জানাননি বিজিএমইএ সভাপতি।

ফারুক হাসান আরও বলেন, নতুন শর্ত দেয়ায় দুশ্চিন্তা বাড়লো। কারণ, এর ফলে অনেক ব্যাংক মূল ঋণপত্রের বিপরীতে ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্র খুলতে দিতে নাও পারে। কেননা নতুন এই শর্তের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির পর অর্থপ্রাপ্তির বিষয়ে অনিশ্চয়তা থেকে যায়। আবার ক্রেতা পণ্য না নিলে স্টক হয়ে যেতে পারে। তবে অনেক ব্যাংক আবার ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্র স্বাভাবিকভাবে খুলবে। এটিকে বড় করে দেখবে না। কারণ, তাদের এই খাতের ওপর বিশ্বাস রয়েছে।

 

 

এমন ঘটনায় ব্যবসায় কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন না বিজিএমইএ সভাপতি। তিনি বলেন, তবে এতে করে অবশ্যই উদ্যোক্তারা টেনশনে পড়বেন। যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমনীতি বিশ্বের সব দেশের জন্যই প্রযোজ্য, সেহেতু অন্য দেশে ক্রয়াদেশ দেয়ার ক্ষেত্রেও একই ধরনের শর্ত হয়তো দিচ্ছে বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান।

 

 

উল্লেখ্য, গত ১৬ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে শ্রম অধিকার সুরক্ষায় নতুন নীতি ঘোষণা করে। এরপর গত ২০ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতির বিষয়ে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে ‘শঙ্কা’ প্রকাশ করে বাণিজ্যসচিবকে একটি চিঠি পাঠানো হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, শ্রম অধিকারবিষয়ক নতুন এ নীতির লক্ষ্যবস্তু হতে পারে বাংলাদেশ। কারণ, শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘিত হলে এই নীতি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান কিংবা রাষ্ট্রের ওপর আরোপের সুযোগ রয়েছে।

 

 

সুত্র: চ্যানেল২৪

Print Friendly and PDF