প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ৩:০৫ : অপরাহ্ণ
প্রথম ও শেষবার ৯৬ সালে বিশ্বকাপ জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। এবারের আসর উপমহাদেশের কন্ডিশনে হওয়ায় আবারো শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখছে দ্বীপদেশটি। বৈচিত্রময় বোলিং ইউনিট লঙ্কানদের শক্তির জায়গা। তবে ইনজুরির কারণে বেশ কিছু ক্রিকেটার ছিটকে গেছেন। তবুও লড়াইয়ের মানসিকতা হারায়নি লঙ্কানরা। বিশ্বকাপ সামনে রেখে আজ থাকছে শ্রীলঙ্কার পরিচিতি।
লঙ্কানরা হারার আগে কখনো হারে না। শেষ বিন্দু পর্যন্ত লড়াই করার মানসিকতা তাদের স্বত্তার সঙ্গে মিশে আছে। বাধা-বিপত্তি-প্রতিকূলতাকে জয় করতে জানে। নিজেদের দুর্বলতাকে শক্তিতে রূপ দিতে জানে।
আইসিসির পূর্ণ সদস্য হবার মাত্র ১৫ বছরের মধ্যে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় শ্রীলঙ্কা। তাও এমন একটি সময় যখন দ্বীপদেশটি গৃহযুদ্ধে জর্জরিত। ১৯৯৬ বিশ্বকাপে যে ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলেছিলো রানাতুঙ্গার দল তাতে অবাক হয়েছিল বিশ্ব। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ফেভারিট অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে প্রথম বিশ্বকাপ জেতে শ্রীলঙ্কা।
সেটাই শেষ। এর পর পেরিয়ে গেছে দুই যুগেরও বেশি সময়। জয়সুরিয়া, অরবিন্দ ডি সিলভারা ব্যাটন তুলে দিয়েছিলেন সাঙ্গাকারা, জয়বর্ধনেদের হাতে। তবে দ্বিতীয় ট্রফিটি আর ছুঁয়ে দেখা হয়নি।
এবার সে অসাধ্য সাধনের দায়িত্ব একদল তরুণের কাঁধে। এই তো এক বছর আগে দেশ যখন প্রায় দেউলিয়া, অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটছে ঠিক তখনই লঙ্কাবাসীদের উৎসবের উপলক্ষ্য এনে দেয় এশিয়া কাপের শিরোপা। এবার লক্ষ্যটা আরো বড়।
শ্রীলঙ্কা বিশ্বকাপের টিকেট পেয়েছে বাছাইপর্ব টপকে। র্যাঙ্কিংয়ে তাদের বর্তমান অবস্থান ৯ নম্বরে। হেডডোচ ক্রিস সিলভারউড আর অধিনায়ক দাসুন শানাকা ট্রফি জেতার রসদের সন্ধানে।
অন্যদলগুলোর মতো লিগ পর্বে ৯টি ম্যাচ। প্রথমটি ৭ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬ নভেম্বর আর তাদের শেষ ম্যাচের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড।
উপমহাদেশের কন্ডিশন বলে বড় স্বপ্ন দেখতেই পারে শ্রীলঙ্কা। পাথিরানা, থিকসানা, ভেল্লালাগের মতো বৈচিত্র্যময় বোলিং অ্যাটাক লঙ্কানদের বড় শক্তি। যদিও ইনজুরি বেশ ভুগিয়েছে দলটিকে।
ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, দুশমান্থ চামিরাদের চোট একটু হলেও দুর্বল করেছে লঙ্কানদের। তবুও ভেঙে পড়েনি এশিয়ার জায়ান্টরা। শেষ পর্যন্ত সব হিসাব নিকাশ পাল্টে দেবার অতীত ইতিহাস যে আছে ৯৬ এর চ্যাম্পিয়নদের।