চট্টগ্রাম, রোববার, ৫ মে ২০২৪ , ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জয়ের দিক থেকে ভারতের পরই বাংলাদেশ

প্রকাশ: ৯ আগস্ট, ২০২৩ ৪:৩০ : অপরাহ্ণ

ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের পর্দা উঠতে দুই মাসেরও কম সময় বাকি। এখন থেকেই অংশগ্রহণকারী দলগুলো নেমে পড়েছে বিশ্বকাপ নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনা সাজাতে। ইতোমধ্যে সূচী-ভেন্যু সবই প্রস্তুত। অপেক্ষা মাঠের লড়াইয়ের।

বাংলাদেশ দল এবারও সরাসরি অংশ নিচ্ছে বিশ্বকাপ আসরে। বিশ্বকাপের ফেভারিট তালিকায় থাকা দলগুলোর একটি বাংলাদেশ। টাইগাররা গত কয়েক বছর ধরেই ওয়ানডে ফরম্যাটে দুর্দান্ত খেলে আসছে। আর সে কারণেই ফেভারিট দল হিসেবে বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে সাকিব-তামিমরা। এক পরিসংখ্যান তার প্রমাণও দিচ্ছে।

 

 

২০১৯ বিশ্বকাপের পর টেস্ট খেলুড়ে দেশের মধ্যে জয়ের দিক থেকে দুইয়ে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো দলগুলো সাকিব আল হাসান-তামিম ইকবালদের পেছনে পড়ে আছে। এই তালিকায় সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জিতেছে ভারত।

সর্বশেষ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ৪৫ ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি ম্যাচ জিতেছেন সাকিব-মুশফিকুর রহিমরা। ২৭ জয়ের বিপরীতে ১৬ হার বাংলাদেশের। বাকি দুই ম্যাচের ফল হয়নি।

শীর্ষে থাকা ভারত এ সময় বাংলাদেশের চেয়ে যেমন বেশি জয় পেয়েছে, তেমনি বেশি ম্যাচও খেলেছে। ৩৪ জয়ে শীর্ষে থাকা রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিরা ম্যাচ খেলেছেন ৫৭টি। হেরেছেন ২০টি। ভারতের ৩ ম্যাচের ফল হয়নি।

ভারত, বাংলাদেশের পরেই আছে শ্রীলঙ্কা। দ্বীপরাষ্ট্রটি এ সময় ম্যাচ খেলেছে ৫০টি। এর মধ্যে ২৬ ম্যাচে জয় পেয়েছে দাসুন শানাকা-ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গারা। হেরেছে ২২ ম্যাচে। ২টির ফল হয়নি। চারে আছে এবারের বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ৬০ ম্যাচে ২৪ জয় পেয়েছে। ৩৪ ম্যাচে হেরেছেন নিকোলাস পুরান-জেসন হোল্ডাররা। ১ টাইয়ের বিপরীতে ১ ম্যাচের ফল হয়নি।

 

 

পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া যৌথভাবে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে পাঁচে আছে। স্টিভেন স্মিথ-ডেভিড ওয়ার্নাররা সীমিত সংস্করণের ম্যাচ কম খেলেছেন। ৩৬ ম্যাচে তাঁদের জয় ২১। ১৫ ম্যাচে প্রতিপক্ষের কাছে হেরেছে অজিরা। সমান ম্যাচের মতো সমান ২১ জয় পেয়েছে কিউইরা। তবে প্রতিবেশী দলের চেয়ে কম ম্যাচ হেরেছে তারা। ১৩ হারের বিপরীতে ২ ম্যাচের ফল হয়নি।

এরপরে ২৮ ম্যাচে ১৯ জয়ে ছয়ে আছে পাকিস্তান। অন্যান্য দলের চেয়ে কম ম্যাচ খেলার মতো বাবর আজম-শাহিন শাহ আফ্রিদিরা হেরেছেনও কম। ১ টাইয়ের বিপরীতে ৮ ম্যাচ হেরেছেন তাঁরা। ম্যাচ খেলার দিক থেকে টেস্ট খেলুড়ে দলের মধ্যে আফগানিস্তানের পরেই কম ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তান।

 

 

দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ৩৫ ম্যাচে ১৮। এ সময় তারা ১৩ ম্যাচের বিপরীতে ৪ ম্যাচের ফল পায়নি। নিজেদের খেলা অর্ধেক ম্যাচে জয় পেয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। ৩৬ ম্যাচে জস বাটলার–মঈন আলীদের জয় ১৮ টি। ৩ ম্যাচের ফল হয়নি। ১৫ ম্যাচ হেরেছে ইংলিশরা। সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলেছে আফগানিস্তান। ২৪ ম্যাচে তাদের জয় ১৪। ৯ ম্যাচ হেরেছে। ১ ম্যাচের ফল হয়নি।

 

Print Friendly and PDF