প্রকাশ: ২৪ জুলাই, ২০২২ ৪:৫৪ : অপরাহ্ণ
এক বিধবা নারী তার দুই মেয়েসহ এক মাসে আগে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। কিছুদিন আগে সেই খবর প্রকাশ্যে আসে। এরপরই তার আত্মীয়স্বজন এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকজন সদস্য তাদের বাড়ি খালি করতে চাপ দিয়ে যাচ্ছে। এতে আতঙ্কে আছে ওই পরিবার।
টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মহারাষ্ট্রের নাগপুরের কাম্পটিতে এ ঘটনা ঘটেছে। কিছুদিন আগে ধর্ম অবমাননাকর পোস্ট নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ওই এলাকা। এমনকি নূপুর শর্মার পোস্টের পর নাগপুরেই সবচেয়ে ভয়াবহ বিক্ষোভ হয়েছিল।
কাম্পটির সূত্র জানায়, ওই নারীর স্বামী পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়েছিলেন এবং প্রায় দুই বছর আগে মারা যান। এতে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল পরিবারটি মারাত্মক সংকটে পড়ে। নিজের কলেজ পড়ুয়া দুই মেয়ে অথৈ সাগরে পড়েন ওই নারী।
এরপর তাদের বাড়ির সামনে এক তরুণ মুসলিম দোকানের মালিকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন ওই নারী। ওই যুবককে ‘ছেলে’ বলে ডাকতে শুরু করেন তিনি। ওই যুবক অন্য আরও বড় একটি জায়গায় স্থানান্তর হওয়ার আগে তার দোকানের জায়গা ব্যবহারের অনুমতি দেয় এই পরিবারটিকে।
ওই নারী ও তার মেয়েরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিলে যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। ওই পরিবারকে ধর্মান্তরের জন্য যুবককে পুরোপুরি দায়ী করতে থাকে সবাই।
ওই যুবক বলেন, আমাদের একটি পারিবারিক বন্ধন রয়েছে, যার সঙ্গে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। যতক্ষণ না কারো মধ্যে ইসলামের প্রতি গভীর সখ্যতা এবং আকর্ষণ না থাকে, ততক্ষণ কেউ ধর্মান্তরিত হয় না।
গত বছরের ডিসেম্বরে বিয়ে করেন ওই যুবক। তিনি বলেন, ওই বিধবার নারীর সঙ্গে আমার মা-ছেলের সম্পর্ক এবং তার মেয়েদেরকে আমি ‘বোন’ বলে ডাকি। আমি যা করেছি তা হলো পরিবারকে কিছু নৈতিক সমর্থন দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, বিধবার আত্মীয়রা ওই নারীকে তার বাড়ি ছাড়তে চাপ দিচ্ছে। প্রতিদিনই মানুষজন ওই নারীর বাড়ি যাচ্ছে। তাকে হিন্দু ধর্মে ফিরে যেতে বলছে। এদিকে হিন্দু সংগঠনগুলোর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেও ওই নারী এবং তার পরিবারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন ওই যুবক।