প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ১:৫২ : অপরাহ্ণ
নানা ঘাত মোকাবিলা করে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে স্কাউট আন্দোলনকেও পাশে চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) গাজীপুরের মৌচাকে ৩২তম এশিয়া প্যাসিফিক ও একাদশ জাতীয় স্কাউট জাম্বুরির সমাপনী অনুষ্ঠানে এ আহবান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুন-রাহাজানি, অগ্নিসন্ত্রাস, অবৈধ ক্ষমতা দখলের মতো নানা ঘাত প্রতিঘাত মোকাবিলা করে উন্নয়নের পথে দেশ। সবার নিরাপদ, সুন্দর ও অর্থবহ জীবন নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার।
শেখ হাসিনা বলেন, স্কাউটিংয়ের মাধ্যমে শিশু-কিশোর-যুবাদের সুনাগরিক ও আত্মনির্ভরশীল হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। তাই সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের স্কাউটিংয়ের সাথে সম্পৃক্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এখন ২২ লাখ সদস্য আছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ লাখ সদস্য হবে।
এসময় স্কাউটের কাজের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্কাউট-ই নতুন প্রজন্মকে নৈতিক ও জীবনধর্মী প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। আর তরুণদের মধ্যে আধুনিক সৃজনশীল গুণাবলী বিকশিত হয়। ফলে স্কাউট সদস্যরা সেবার মন্ত্রে দীক্ষিত হচ্ছে ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলছে। পরোপকারী হিসেবে সমাজ সেবার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখে যাচ্ছে। প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অতিমারি করোনায় তাদের আন্তরিকতা আমরা দেখতে পেয়েছি। এই স্কাউট আন্দোলন আরও ব্যাপকভাবে গড়ে উঠুক।
শিশুদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখনই আমি তোমাদের মাঝে আসি, তখনই আমার মনে পড়ে আমার ছোট ভাই শেখ রাসেলকে, মাত্র ১০ বছরে যাকে ঘাতকের বুলেট কেড়ে নিয়েছে। তোমাদের মাঝেই আমি শেখ রাসেলকে খুঁজে পাই। আমি চাই, আমাদের দেশের আজকের শিশু-কিশোরদের জীবন নিরাপদ হোক, সুন্দর হোক, অর্থবহ হোক। তারা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠুক। আজকের শিশুরাই আগামী দিনে বাংলাদেশের কর্ণধার হবে।
তিনি বলেন, আমি চাই, আমাদের দেশটা আরও চমৎকারভাবে গড়ে উঠুক। যেখানে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ স্থান পাবে না। সাম্প্রদায়িকতা বা সন্ত্রাসবাদ থেকে মুক্ত থাকবে। আজকের শিশু যারা বড় হবে, তারা উদার মন নিয়ে বড় হবে। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে। দেশকে সুন্দরভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং গঠন করার কাজ করবে।
উল্লেখ্য, এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের ১১ হাজার স্কাউট ও স্কাউটার নিয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজীপুরের মৌচাকে শুরু হয় ‘এশিয়া-প্যাসিফিক রিজিওনাল স্কাউট জাম্বুরির’ ৩২তম আসর। একই সাথে হয় ১১তম ‘জাতীয় স্কাউট জাম্বুরি’। এর সমাপনী আয়োজনে যোগ দেন সরকারপ্রধান। দেশে প্রথমবারের মতো স্কাউটের এ আন্তর্জাতিক আয়োজনকে স্মরণীয় করে রাখতে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। ১২ জনকে তুলে দেন শাপলা কাব পদক।