প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ১১:২৬ : পূর্বাহ্ণ
অভিযোগ, নিজের মৃত্যুর খবর যাতে বিশ্বাসযোগ্য হয়, তার জন্য মৃতদেহের বেশে বেশ কিছু ছবিও তোলেন তিনি। তারপর সেই ছবিগুলো পোস্ট করেন সমাজমাধ্যমে। পুরো বিষয়টি জানাজানি হতেই গা-ঢাকা দিয়েছেন তিনি, অভিযোগ পাওনাদারের।
ইন্দোনেশিয়ার এক সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, এল নামের ঐ নারীর থেকে বেশ কিছু টাকা পেতেন মায়া গুনাওয়ান নামের অপর এক নারী। নভেম্বর মাসের ২০ তারিখে সেই টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল এলের। তিনি মায়াকে অনুরোধ করেন ডিসেম্বরের ৬ তারিখ পর্যন্ত সময় দেওয়ার।
তবে ডিসেম্বরের ১২ তারিখ তাগাদা দেওয়ার জন্য তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন মায়া। তখনই ফেসবুকে এলের মেয়ের করা একটি পোস্ট দেখে চমকে ওঠেন তিনি। ঐ পোস্টে জানানো হয়, একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন এল। উত্তর সুমাত্রার মেডান নামের একটি সেতুতে পথ দুর্ঘটনাটি হয় বলেও দাবি করা হয় ঐ পোস্টে।
সঙ্গে নাকে তুলো দেওয়া অবস্থায় এলের একটি ছবি প্রকাশ করা হয়। এ ছাড়া হাসপাতালে মরদেহ নিয়ে যাওয়ার কিছু ছবিও দেওয়া হয়। ঐ পোস্টে এও দাবি করা হয়, এরই মধ্যে সমাধিস্থ করা হয়েছে এলকে।
পোস্টের কিছু পরে জানা যায়, হাসপাতালে মরদেহ নিয়ে যাওয়ার যে ছবি প্রকাশ করা হয়েছিল সেগুলো একটি টিভি ধারাবাহিকের ছবি। এরপর এলের মেয়ে দাবি করেন, তার মা আদৌ মারা যাননি। পুরোটাই নাটক।
তিনি এও দাবি করেন, বিষয়টিকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে ঐ ছবি তোলেন তার মা। তারপর তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে পোস্ট করেন ছবিগুলো। পুরো ঘটনায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছেন মায়া নিজেই। টাকা ফেরত চেয়ে এলের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও এলের কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না বলে দাবি তার।
সূত্র: আনন্দবাজার