প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর, ২০২২ ৫:৪০ : অপরাহ্ণ
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ২২ হাজার আওয়ামী লীগ কর্মীকে হত্যা করেছেন। ১৯৭৭ সালে যে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ তিনি চালিয়েছিলেন, তা আর কখনো ঘটেনি। তার শাসনামলে ফাঁসি কার্যকরের পর রায় হয়েছে, এমন বহু ঘটনা আছে। এগুলো ডকুমেন্টেড।
শনিবার বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস ও হুকুমদাতাদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করে ‘অগ্নি সন্ত্রাসের আর্তনাদ’ নামে একটি সংগঠন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে অসংখ্য মানুষ হত্যা করেছে, তাদের আগুন থেকে অবুঝ পশুপাখিও রক্ষা পায়নি। এরা মানুষের শত্রু, প্রকৃতির শত্রু, এরা অগ্নি সন্ত্রাসী, এরা মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী।
তিনি বলেন, সরকার তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের জন্য ময়দান বরাদ্দ দিয়েছে। এর বাইরে আরো চারটি ময়দানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা কোনোটাতেই যাবে না, তারা সমাবেশ করবে নয়াপল্টনে। সমাবেশের ডাক দিয়েছে ১০ তারিখে, কিন্তু ৭ তারিখ থেকে রাস্তা দখল করে সমাবেশ শুরু করেছে। আর পুলিশ যখন রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানাতে যায় তখন পুলিশের ওপর হামলা চালানো শুরু করে দিয়েছে। এভাবে তারা দেশে বিশৃঙ্খলা করেছে এবং করছে।
মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন ‘অগ্নি সন্ত্রাসের আর্তনাদ’ সংগঠনের আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ সামাদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।