প্রকাশ: ২২ নভেম্বর, ২০২২ ১২:৫৪ : অপরাহ্ণ
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিবিসি’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টালিয়া বলেন বলেন, এমন রোগ নিয়ে বেঁচে থাকাটা খুব কঠিন। ডাইজেস্টিভ বিস্কুট ছাড়া অর্থাৎ পাচন অযোগ্য কোনো খাবার খেলে বা পান করলেই প্রচণ্ড পেট ব্যথা শুরু হয় ও বমি হয়ে যায়।
তিনি জানান, ২০১৮ সালে প্রথম অদ্ভুত এ রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। লক্ষণগুলো এতটাই বিচিত্র ও বিরল ছিল যে, শুরুতে চিকিৎসকেরাও বুঝতে পারছিলেন না যে, এটা আসলে কী রোগ।
লক্ষণগুলোর বর্ণনা দিতে গিয়ে টালিয়া বলেন, ‘খাবার খাওয়ার পর আমার মনে হয় যা খেয়েছি, তা বুকের মধ্যে বছরের পর বছর ধরে আটকে আছে। তখন মনে হয় ব্যথা থেকে রেহাই পেতে আমাকে বমি করতে হবে।’
টালিয়া জানান, এ বছরের জানুয়ারিতে তিনি একটি নাম না জানা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। এতে তার হজম প্রক্রিয়া একেবারে দুর্বল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে সমস্যা চরম পর্যায়ে চলে গেলে বাবা পিটার সিনেট টালিয়াকে লন্ডনের হাসপাতালে নিয়ে যান।
হাসপাতালটির এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানান, টালিয়ার গ্যাস্ট্রোপেরেসিস হয়েছে। এ রোগকে একবারে সারিয়ে তোলা যায় না। তবে চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। চিকিৎসা না করানো হলে টালিয়াকে পাচনযোগ্য বিস্কুট খেয়েই বেঁচে থাকতে হবে।
পিটার সিনেট বলেন, টালিয়ার চিকিৎসা খরচ বাবদ প্রায় ৮০ হাজার পাউন্ড লাগবে। বড় অংকের এই অর্থের ব্যবস্থা করতে বর্তমানে তহবিল সংগ্রহ করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, চিকিৎসকেরা ওর পেটে গ্যাস্ট্রিক পেসমেকার স্থাপন করবেন। এটি টালিয়ার পেটের মাংসপেশিতে স্পন্দন তৈরি করে খাবার হজম করতে সাহায্য করবে।