চট্টগ্রাম, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হুন্ডিতে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রমাণ পেলেই নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা

প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর, ২০২২ ১২:০৮ : অপরাহ্ণ

অবৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেবে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

বুধবার (১৬ নভম্বের) বাংলাদশে ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র সাঈদা খানম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সর্তক বার্তা জারি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অবৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে প্রমাণ সাপেক্ষে প্রচলিত আইনে বিএফআইইউ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

প্রবাসীদের উদ্দেশে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে (হুন্ডি বা অন্য কোনো অবৈধ পথে) প্রেরণ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ এবং এতে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

তাই মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাতে হুন্ডি বা অন্য কোনো অবৈধ পথ বাদ দিয়ে বৈধপথে দেশে পাঠান।   দেশ গড়ায় মূল্যবান অবদান রাখুন এবং আপনার প্রিয়জনকে ঝুঁকিমুক্ত ও নিরাপদ রাখুন।

বর্তমানে বৈধপথে প্রবাস আয়ে আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। এ ছাড়া রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের সিআইপি সম্মাননা দিচ্ছে সরকার। রেমিট্যান্স বিতরণ প্রক্রিয়া সম্প্রসারণ ও সহজীকরণের পাশাপাশি অনিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিনিয়োগ ও গৃহায়ণ অর্থায়ন সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

ফিনটেক পদ্ধতির আওতায় আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটরকে বাংলাদেশের ব্যাংকের সঙ্গে ড্রয়িং ব্যবস্থা স্থাপনে উদ্বুদ্ধকরণের পাশাপাশি রেমিট্যান্স প্রেরণে ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর চার্জ ফি মওকুফ করা হয়েছে।

এ ছাড়া শ্রমিকদের সুবিধা বিবেচনায় দেশের বাইরে সাপ্তাহিক ছুটির দিন ব্যাংকগুলো নিজস্ব এক্সচেঞ্জ হাউস খোলা রাখতে পারবে।

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের চতুর্থ মাস অক্টোবরে ১৫২ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই অঙ্ক গত আট মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।

এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশে ১৪৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। চলতি অর্থবছরের টানা দুই মাস দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স বৈধপথে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

সূত্র:ডেইলি বাংলাদেশ

Print Friendly and PDF