প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর, ২০২২ ১১:১০ : পূর্বাহ্ণ
লজ্জা থাকলে পদ্মা সেতুতে ওঠার আগে মির্জা ফখরুলকে ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, লজ্জা থাকলে পদ্মা সেতু নিয়ে অপপ্রচার চালানোর কারণে তাদের জাতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমা চেয়ে পদ্মা সেতুতে ওঠা প্রয়োজন ছিল। তবে পদ্মা সেতু সবার জন্যই বানানো।
ড. হাছান মাহমুদ, পদ্মা সেতু নিয়ে কত কথা। সোনার মূল্য দিয়ে পণ্যের মূল্য বিবেচনায় নিলে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ বানাতে যে খরচ হয়েছিল সে সময়, তার অনুপাতে পাঁচ ভাগের এক ভাগ হয়েছে পদ্মা সেতুতে।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিএনপি আজ প্রায় ১৪ বছর ধরে বলে আসছে সরকারের পতন ঘটাবে এবং পতন না ঘটলে তারা ঘরে ফিরে যাবে না। অবশ্য প্রত্যেকটা সমাবেশের পর তারা ঘরেই ফিরে যায়। তারা যতই দাবি করছে, এতে একটা লাভ হচ্ছে আমাদের, আমাদের কর্মীরা চাঙ্গা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের কর্মীদের একটা গুণ হচ্ছে কেউ যদি খোঁচা দেয় তখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে উজ্জীবিত হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির এই আন্দোলন-আন্দোলন ভাবের কারণে আমাদের কর্মীরা উজ্জীবিত হচ্ছে। সেটিরই বহিঃপ্রকাশ আপনারা দেখেছেন, যুবলীগের যে সমাবেশ হয়েছে সেখানে লাখ লাখ যুবকের সমাবেশ হয়েছে। তাদের মতো এত হাঁকডাক তারা দেয়নি। এটা যুবলীগের সমাবেশ, আওয়ামী লীগের নিজের সমাবেশ না। বিএনপির আন্দোলনের কারণে আমাদের কর্মীরা উজ্জীবিত হচ্ছে, চাঙ্গা হচ্ছে এবং অপশক্তির সঙ্গে মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
বিএনপির সমাবেশের আগে লঞ্চ, বাস, ট্রাক ধর্মঘট ডাকার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে হাছান মাহমুদ বলেন, কারণ বিএনপি লঞ্চ, বাস, ট্রাক সবকিছু আগুন দিয়ে পুড়িয়েছিল। যখন বিএনপির সমাবেশ করে তখন লঞ্চ, বাস, ট্রাকের মালিকরা আতঙ্কে ধর্মঘট করে। কারণ তারা অতীতে সমাবেশের নামে, আন্দোলনের নামে বাস-ট্রাক পুড়িয়েছে।
তিনি বলেন, বাস-ট্রাক মালিক শ্রমিক সমিতিতে সব দল আছে। ওখানে শুধু আওয়ামী লীগের নেতার আছে তা নয়। ওখানে আওয়ামী লীগ আছে, বিএনপি আছে, জাতীয় পার্টি আছে, জাসদ থেকে শুরু করে অন্যান্য দল সেখানে আছে। তারাই তো ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।