চট্টগ্রাম, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাগরের গ্যাস অনুসন্ধানে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে নতুন টেন্ডার দেবে সরকার (ভিডিও)

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর, ২০২২ ৫:৩৮ : অপরাহ্ণ

সাগরের গ্যাস অনুসন্ধানে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে নতুন টেন্ডার দেবে সরকার। এ কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী। নতুন উৎসের সন্ধান চলবে ময়মনসিংহ ও শরীয়তপুর এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে।

ভূতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সরবরাহ ঘাটতি ও ঊর্ধ্বমূল্যের জন্য বিদেশি এলএনজির বদলে জোর দেয়া উচিৎ দেশি গ্যাস উত্তোলনে।

কাতার ও ওমান থেকে এখন জ্বালানি আনলেও নতুন বাজার খুঁজতে আলোচনা চলছে সৌদি আরব ও ব্রুনেইয়ের সঙ্গে। সৌদিরা বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে সৌর ও গ্যাস নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদনে।

সংকটে সমীকরণ মেলাতে হিমশিম দশায় কিছুটা আশা জুগিয়েছে বিয়ানীবাজারের পরিত্যক্ত গ্যাসকূপ। আগামী মাস থেকে এই ক্ষেত্রের ১ নম্বর কূপ থেকে প্রতিদিন মিলবে ১০ এমএমসিএফ গ্যাস। সঙ্গে পাওয়া যাবে ১০০ ব্যারেলের মতো জ্বালানি তেল।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু জানান, তিন বছর আগে যেগুলোর আমরা শুরু করেছিলাম সেগুলোর প্রাপ্তিটা এখন ঘটতেছে, আর যেগুলা নতুন খুরতেছি সেগুলো হয়তো ২০২৪-২০২৫ সালে গিয়ে কাজ শুরু হবে।

ভূতত্ত্ববিদরা বলছেন, পরিত্যক্ত কূপ পুনঃখননে যে গ্যাস আসবে তা বর্তমান সংকটে কিছুটা কাজে এলেও দীর্ঘমেয়াদে সুফল দেবে না। বরং নজর দিতে হবে নতুন ক্ষেত্রের সন্ধানে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, ‘এই ওয়ার্কওভার কুপগুলো যদি বেশি পরিমাণে খনন করে প্রত্যেকটা থেকে গ্যাস আনা যায়, তাহলে আমাদের ভালো রকম একটা যোগান আসবে বলে আমি মনে করি।’

প্রতিমন্ত্রী জানান, সাগরে গ্যাস অনুসন্ধানে এর আগে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলেও ফের টেন্ডার দেয়া হবে সামনের দুই মাসে। নতুন উৎসের সন্ধান চলবে ময়মনসিংহ ও শরীয়তপুর এবং পার্বত্য চট্টগ্রামেও।

জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা তো দুই বার দুই কোম্পানিকে দিলাম তারা তো ব্যাক আউট করল তখন, আমরা এখন দুইটা স্ট্রাকচার নিয়ে কাজ করতে চাই, একটা হলো আমাদের বৈক যেটা ময়মনসিংহ বেল্টের একটা স্ট্রাকচার, শরীয়তপুর এই জায়গায় একটা ড্রিলিংয়ে দেখতে চাই যদি পাওয়া যায় খুবই ভালো কথা, আর একটা হলো পার্বত্য চট্টগ্রাম।

ভূতত্ত্ববিদ বদরুল ইমাম বলেন, ‘এত বড় একটা সমুদ্র এইভাবে ফেলে রাখাটা আমার মনে হয় অযৌক্তিক, এই একই সমুদ্রে মিয়ানমার এবং ভারত তাদের অংশে যথেষ্ট পরিমাণ গ্যাস তুলছে সুতরাং আমরা তুলব না কেন?’ এই বিশেষজ্ঞের মতে, উচ্চ দাম ও সরবরাহ ঘাটতির কারণে এলএনজি নির্ভরতা অযৌক্তিক।

Print Friendly and PDF