প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর, ২০২২ ১২:১৬ : অপরাহ্ণ
শনিবার (১২ নভেম্বর) ভারতের নাগপুরে ৪০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৬ নভেম্বর নাগপুর শহরের কালামনা এলাকা থেকে ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার বাবা শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
কালামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, কক্ষে পাওয়া পাঁচটি সুইসাইড নোটের তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে পুলিশ মেয়েটির সৎমা, চাচা, খালা এবং দাদা-দাদির বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করে। তবে তদন্তের সময় ভুক্তভোগীর বাবার মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে এটি আত্মহত্যার পরিবর্তে হত্যা বলে মনে হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “ভুক্তভোগী মেয়েকে আত্মহত্যা করার জন্য বাবা নির্দেশ দিচ্ছেন–মোবাইল ফোনে আমরা এ রকম একটি ছবি পেয়েছি।”
তিনি বলেন, “তার আগে ওই ব্যক্তি মেয়েটিকে আত্মীয়দের নাম জড়িয়ে পাঁচটি সুইসাইড নোট লিখতে বলেন। এরপর মেয়েটি তার বাবার নির্দেশমতো গলায় ফাঁস বেঁধে একটি চৌকির ওপর দাঁড়ায়। তখন বাবা একটি ছবি তুলে চৌকিটি সরিয়ে দেয়। এরপর ফাঁসিতে মেয়েটির মৃত্যু হয়।”
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “হত্যার পর অভিযুক্ত বাবা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।”
“পরে পুলিশকে ফোন করে বলেন, তিনি কাজের জন্য বাইরে গেছেন এবং ফিরে এসে দেখেন তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে পাঁচ আত্মীয়র বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায় আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা নথিভুক্ত করে। কিন্তু পরে তদন্তকারী কর্মকর্তারা বুঝতে পারেন কিছু একটা ভুল ছিল।”
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বাবার ফোনে আত্মহত্যার ছবি পাওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশের কাছে তিনি মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। খুনের অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ হত্যার পেছনের উদ্দেশ্য বের করতে তদন্ত চালাচ্ছে।