প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল, ২০২২ ১১:১৩ : পূর্বাহ্ণ
রাম উপাধ্যায় নামে ডানকুনির এক যুবকের দিঘার একটি হোটেলে রুমে রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে ছিলেন তার প্রেমিকা। এটি খুন নাকি আত্মহত্য়া খতিয়ে দেখছে পুলিশ। খবর জি নিউজের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডানকুনি পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের হিমনগর এলাকার একটি আবাসনে পরিবার নিয়ে থাকেন রাম উপাধ্যায়। তার বাড়িতে স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছে। গত রোববার ভোরে হলদিয়ায় কাজ আছে একথা বলে বের হন ওই যুবক। রাতে ফেরার কথা থাকলেও স্ত্রীকে জানান গাড়ি খারাপ হয়েছে। তাই ফিরতে রাত হবে। এদিকে সোমবার সকালে রামের মোবাইলে ফোন করেন তার স্ত্রী। তখন ফোন ধরেন এক নারী। নিজের পরিচয় দেন মালা ঘোষ নামে। ওই নারীর কাছেই রামের স্ত্রী জানতে পারেন, তার স্বামী গলায় দড়ি দিয়ে মারা আত্মহত্যা করেছেন। স্বভাবতই এই খবর পেয়ে শোকে ভেঙে পড়ে উপাধ্যায় পরিবার।
স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, ট্রান্সপোর্টের ব্যবসা করতেন রাম। তিনি মূলত উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। তবে গত ১০ বছর ধরে ডানকুনিতে বসবাস করছিলেন। তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন, সেটা কেউ বিশ্বাস করতে পারছে না। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, রামকে খুন করা হয়েছে এবং সেই খুনে মালা ঘোষের সঙ্গে আরও একজন জড়িত।
তবে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়ে পরিবারের কেউই কিছু জানতেন না। রোববার দিঘার হোটেলে মালাকে নিয়েই উঠেছিলেন রাম। বারাসতের বাসিন্দা মালা। পুলিশকে মালা জানান, মদপানের পর নেশার ঘোরে তাকে চড় মেরেছিল রাম। এরপর নিজে আত্মঘাতী হয়। এ ঘটনার সময় হোটেলের ব্যালকনিতে ছিলেন মালা।