প্রকাশ: ১১ নভেম্বর, ২০২২ ৩:১৯ : অপরাহ্ণ
এ বিষয়ে বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ মোহাম্মদ ইসা মিয়া বলেন, গতবছর বন্দর কর্তৃপক্ষ চরপাড়া এলাকায় ঘাট নির্মাণ করে তা পরিচালনার জন্য ইজারা দেয়। এর পর থেকে ইজারাদারের লোকজন শ্রমিকদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করে আসছে। এমনকি শ্রমিকদের মারধরের ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু এসব ঘটনায় প্রশাসন কিংবা বন্দর কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে এ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
লাইটারেজ শ্রমিকদের দাবিগুলো হলো: লাইটার জাহাজের শ্রমিকদের উঠা-নামায় ব্যবহৃত চরপাড়া ঘাটের ইজারা বাতিল, বন্দর চেয়ারম্যানকে প্রত্যাহার, পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অপসারণ, সাঙ্গু নদীর মুখ খনন করে লাইটার জাহাজের নিরাপদ পোতাশ্রয় করা এবং লোডেড ও খালি জাহাজ সার্ভে করার জন্য পারকিরচর গিয়ে সার্ভে করা।
ধর্মঘটের কারণ বহির্নোঙরে লাইটারেজ জাহাজে পণ্য খালাসসহ চট্টগ্রাম থেকে সারা দেশে নদীপথে পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে ঘাট শ্রমিক এবং পণ্য পরিবহনে। এতে সকাল থেকে ঘাটে কয়েক হাজার শ্রমিক বেকার বসে আছেন।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের উপব্যবস্থাপক (ভূমি) জিল্লুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় শ্রমিকদের সঙ্গে বিকেল ৪টারে দিকে বৈঠকে বসা হবে।
চট্টগ্রাম বন্দর এবং বহির্নোঙর থেকে সারা দেশে পণ্য আনা-নেয়া করে অন্তত দেড় হাজার লাইটারেজ জাহাজ; আর এসব জাহাজে শ্রমিকের সংখ্যা ৩০ হাজারের বেশি।