প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর, ২০২২ ২:১৭ : অপরাহ্ণ
সোমবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের মিটিং শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্যজানান তিনি।
তিনি জানান, সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ এটি দেশের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে। তাই উপকূলের সব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার শতভাগ মানুষকে সন্ধ্যার মধ্যে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হবে।
এদিকে কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ক্রমান্বয়ে শক্তি সঞ্চয় করছে। একই সঙ্গে এগিয়ে আসছে উপকূলের দিকে। আজ সোমবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে আজ দুপুর ৩টার পর থেকেই খুলনা ও বরিশালের উপকূলীয় এলাকায় উচ্চ গতির বাতাস বইতে শুরু করবে। সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বাতাস সর্বোচ্চ গতিবেগে বয়ে যাবে।
বিকেল ৫টার আগে থেকেই চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান এই জলবায়ু গবেষক।
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং যেহেতু দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হচ্ছে তাই ঘূর্ণিঝড়-কেন্দ্রে নিম্নচাপের কারণে ওই স্থানের পানির সমতল উঁচু হয়ে যাচ্ছে। ওই স্থান থেকে সমুদ্রের পানি চট্টগ্রাম উপকূলে জমা হচ্ছে। চট্টগ্রাম উপকূলে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে, আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল বলছে, সোমবার সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।
মোংলা ও পায়রা বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।