চট্টগ্রাম, রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ , ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার দুধ দিয়ে গোসল করে দল ছাড়া সেই যুবলীগ নেতার ক্ষমা প্রার্থনা

প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর, ২০২২ ১২:১৬ : অপরাহ্ণ

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দুধ দিয়ে গোসল করে দল ছাড়ার ঘোষণা দেওয়া সেই যুবলীগ নেতা সানোয়ার হোসেন তার ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।  সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকালে তিনি তার নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি ভিডিওর মাধ্যমে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। রাগের মাথায় তার বলা সব কথা তুলে নিয়েছেন বলেও ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন।

সানোয়ার হোসেন ভিডিও বার্তায় আরও বলেন, রোববার আমার যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে তার জন্য আমি ক্ষমা চাই।

আমার বাবা একজন ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতা। গত নির্বাচনে আমি ভোট কেন্দ্রে এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছি। আমাকে অনেকে বলেছে তোমার পদে আসা দরকার। পদ না পেয়ে আমি যে কাজ করেছি এবং যা বলেছি তার জন্য আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমা চাই। আমি রাগের বশবর্তী হয়ে যা বলেছি তা তুলে নিচ্ছি। আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি। আমার কৃত কর্মের জন্য আওয়ামী পরিবারের কাছে যুবলীগের ভাইদের কাছে ক্ষমা চাই্। মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। আমিও মানুষ। আমি ভুল করেছি।

আমার বাবা একজন ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতা। গত নির্বাচনে আমি ভোট কেন্দ্রে এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছি। আমাকে অনেকে বলেছে তোমার পদে আসা দরকার। পদ না পেয়ে আমি যে কাজ করেছি এবং যা বলেছি তার জন্য আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমা চাই। আমি রাগের বশবর্তী হয়ে যা বলেছি তা তুলে নিচ্ছি। আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি। আমার কৃত কর্মের জন্য আওয়ামী পরিবারের কাছে যুবলীগের ভাইদের কাছে ক্ষমা চাই্। মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। আমিও মানুষ। আমি ভুল করেছি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১৫ অক্টোবর) মির্জাপুর উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সম্মেলন হয়। ব্যবসায়ী সানোয়ার হোসেন ছিলেন সভাপতি প্রার্থী । পরে উপজেলা-ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতারা একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন। এতে আজগানা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড যুবলীগের আহ্বায়ক করা হয় রোমান সরকারকে এবং যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয় সুরুজ আলমকে। এছাড়া সেখানে কার্যকরী সদস্য-১ নম্বরে রাখা হয় সানোয়ার হোসেনকে। এতে সানোয়ার হোসেন ক্ষুব্ধ হয়ে রোববার দুপুরে খাটিয়ার হাট বাজারে জনসম্মুখে দুধ দিয়ে গোসল করে দল ছাড়ার ঘোষণা দেন।

দুধ দিয়ে গোসল করার সময় সানোয়ার হোসেন বলেন, আমি আওয়ামী লীগের এই দুর্নীতিগ্রস্ত দল থেকে অব্যাহতি নিলাম। আওয়ামী লীগের কোনো রাজনীতি বা দলের কোনো কার্যক্রমে, কোনো নেতার সঙ্গে থাকব না। আমি কান ধরে উঠবস করছি। আওয়ামী লীগের রাজনীতির কোনো অনুষ্ঠানে যাব না। কারণ ওরা হল পাপিষ্ঠ। মরার আগে আমি আওয়ামী লীগের হয়ে মরতে চাই না। আমি মুসলমান, কালেমা পড়ে মরতে চাই। এই জালেমদের হাত থেকে বাঁচতে চাই।

এ সময় সানোয়ার হোসেনের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও দুধ দিয়ে ধোয়া হয়।

উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম বলেন, আমার মনে হয়েছিলো সানোয়ার কারো উসকানিতে দলের বিরুদ্ধে আপত্তিকর কথা বলেছে এবং দুধ দিয়ে গোসল করেছে। সে যদি তার ভুল বুঝে ক্ষমা চায় তাহলে তা ক্ষমার যোগ্য।

উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক শামীম আল মামুন বলেন, আমার ধারণা সানোয়ারের মানসিক সমস্যা আছে। রাজনৈতিক জ্ঞান বিন্দুমাত্র থাকলেও কেউ এধরনের কাজ করতে পারে না। নিজের ভুল বুঝতে পারাটা একটা ভাল দিক।

Print Friendly and PDF