প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর, ২০২২ ১১:০৫ : পূর্বাহ্ণ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলছেন, দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না থাকলেও চলতি বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর আশা করছে সরকার। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সরকারের কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। তবে, এতদিন পরে হলেও শিগগিরই মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রক্রিয়া শুরু হলেও সেটা যাতে লোক দেখানো না হয় সে ব্যাপারে কঠোর হতে হবে বাংলাদেশকে।
এর আগে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের সামরিক জান্তার নির্যাতনে রাখাইন রাজ্য থেকে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয় কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ শরণার্থী কেন্দ্রে। আগে থেকেই যেখানে বসবাস করছিলো আরও প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা। সব মিলিয়ে এখন এখানে আছে ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা।
আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার চুক্তিতে সই এবং ২০১৯ সালে এসে দুই দফায় প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেয়া হয়। তবে অং সান সুচী সরকারের প্রতিশ্রুতিতে আস্থা রাখতে পারেনি রোহিঙ্গারা। ফলে সে চেষ্টা আলোর মুখ দেখেনি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সূত্র থেকে জানা গেছে, গত জুন মাসে দুদেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ-জেডব্লিউজি সভার সিদ্ধান্তে নয় লাখ রোহিঙ্গার তালিকা পাঠানো হয় মিয়ানমারের কাছে। এর মধ্যে ৬০ হাজার জনের যাচাই-বাছাইয়ের কাজ করছে দেশটি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক নানা সমস্যার মধ্যে রোহিঙ্গারা গলার কাটা হয়ে আছে এখন। তবে, দীর্ঘদিন পর হলেও কূটনৈতিক তৎপরতায় শিগগিরই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে আশার কথা শোনালেন তিনি।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এখন বড় চ্যালেঞ্জ সরকারের পক্ষ থেকে এমনটা বলা হলেও বিশ্লেষকরা বলছেন, নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা এবং আন্তর্জাতিক মহলের চাপে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী এখন কিছুটা নমনীয়,তাই বাংলাদেশকে এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।
এ বছরের শেষের দিকে প্রত্যাবাসনের কাজ শুরু হতে পারে, এমনটা জানা যায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো থেকে।