প্রকাশ: ১১ অক্টোবর, ২০২২ ১:১৭ : অপরাহ্ণ
ইসরায়েলের অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লার উপকণ্ঠে জিলজিলিয়া গ্রামে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গ্রেপ্তার ও হামলার সময় মারা যান বয়স্ক এক ফিলিস্তিনি-আমেরিকান নাগরিক।
সেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মাথা নত করতে বাধ্য হলো ইসরায়েল। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর জানিয়েছে, অবশেষে ওই ব্যক্তির পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে সম্মত হয়েছে দখলদার দেশটির প্রশাসন।
৮০ বছর বয়সী ওই ফিলিস্তিনি নাগরিকের নাম ওমর আবদুলমাজিদ আসাদ। তিনি শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগে ভুগছিলেন। চলতি বছরের শুরুর দিকে এক শীতের রাতে গলা-মুখ-চোখ বেঁধে এবং হাতকড়া পরিয়ে তাকে মাটিতে ফেলে রেখেছিল বর্বর ইসরায়েলি সেনারা।
‘দুর্ভাগ্যজনক সেই পরিস্থিতির আলোকে’ ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আসাদের পরিবারকে পাঁচ লাখ শেকেল বা প্রায় দেড় লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে। বিনিময়ে আসাদের পরিবার রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করবে বলে জানিয়েছে হারেৎজ।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মার্কিন সমালোচনার পরপরই এই বিরল পদক্ষেপ নিল ইহুদিবাদী দেশটি। পরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীও একটি বিবৃতি জারি করে এই ঘটনার নিন্দা করে। তারা বলে, ‘এটি একটি গুরুতর এবং দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা, সৈন্যদের নৈতিক ব্যর্থতা এবং দুর্বল সিদ্ধান্তের ফল।’
খবরে আরও বলা হয়, এ ঘটনায় দুই ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল এবং তৃতীয় একজন ব্যাটালিয়ন কমান্ডারকে আসাদের মৃত্যুর পর তিরস্কার করা হয়েছিল।