প্রকাশ: ৬ অক্টোবর, ২০২২ ৩:১৩ : অপরাহ্ণ
পুলিশের সাবেক এক কর্মকর্তা এই বন্দুক হামলা চালিয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার দেশটির পুলিশের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন। দেশটির পুলিশের উপ-মুখপাত্র আচায়ন ক্রাইটং রয়টার্সকে বলেছেন, গুলিতে কমপক্ষে ৩১ জন মারা গেছেন।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র খবরে থাই পুলিশের বিবৃতিরে বরাতে বলা হয়েছে, ডে কেয়ার সেন্টারে নিহতদের মধ্যে শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকরাও রয়েছেন। পুলিশের সেই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
দেশটির সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ডে কেয়ার সেন্টারে হামলার পর দেশটির সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা এবং কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান ওচা। একই সঙ্গে অপরাধীকে দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা সম্প্রতি চাকরিচ্যুত হয়েছেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে। পুলিশ বলছে, তাকে শেষবার ব্যাংককের রেজিস্ট্রেশন প্লেটসহ একটি সাদা টয়োটা পিকআপ ট্রাক চালাতে দেখা গেছে।
এদিকে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের প্রতিবেদনে নিহতের সংখ্যা ৩০ জন বলা হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল আচায়ন ক্রাইথং বলেন, ওই বন্দুকধারী নোংবুয়া লাম্পু শহরের কেন্দ্রে ওই ডেকেয়ারে স্থানীয় সময় বিকেলে গুলি চালায়।
তিনি বলেন, বন্দুকধারীর গুলিতে ৩০ জনের বেশি নিহত হয়েছে এবং এর বেশি কিছু জানা যায়নি। হত্যাকাণ্ডের পর আততায়ী আত্মহত্যা করেছে বলেও খবর মিলেছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
স্থানীয় পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কার্যালয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা গেছে। যার মধ্যে ২৩ শিশু ও দুই শিক্ষক এবং এক পুলিশ কর্মকর্তার মরদেহ শনাক্ত করা গেছে।