প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১০:৪১ : পূর্বাহ্ণ
কুকুর নিয়ে আতঙ্কের মূল কারণ হচ্ছে প্রতিনিয়ত কুকুরের কামড়ে জখম হওয়ার ঘটনা। স্বাস্থ্য বিভাগের এক হিসেব বলছে, প্রতি বছর কুকুরের কামড়ে আহত হচ্ছে দু’লাখেরও বেশি মানুষ, যাদের বেশিরভাগই শিশু।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেবে গত ১০ বছরে জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার কমলেও রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়ানো কুকুরের কামড় থেকে মানুষকে রক্ষা করার ব্যাপারে তারা রীতিমত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
আর এ নিয়ে ভয় ও উদ্বেগ আছে অনেকের মধ্যেই। অনেকে কুকুরের কামড়ের শিকার হয়েছেন। সিটি কর্পোরেশন বলছে, প্রতিনিয়ত এ ধরনের অভিযোগ তাদের কাছেও আসছে।
ঢাকার সংক্রামক ব্যধি হাসপাতালেই প্রতিদিন ৩০০-এর বেশি কুকুরের কামড়ে আহত রোগী চিকিৎসা নেন।
এক সময় কুকুর নিধন করা হলেও এখন সেটি আইনে নিষিদ্ধ। আবার কুকুরকে টিকা দেয়ার কাজও যথাযথভাবে হচ্ছে না। ফলে বাড়ছে কুকুরের সংখ্যা।
ভুক্তভোগীরা জানান, এলাকায় এতো বেশি কুকুর, তারা ডাকাডাকি করে ও অনেক সময় হিংস্র হয়ে যায়। এগুলো সরানো গেলে ভালো হতো। এ অবস্থায় অনেকের মধ্যে ক্ষোভও আছে যে শহর এলাকায় কুকুর কেন এভাবে যত্রতত্র ঘুরে বেড়াবে।
তবে বাস্তবতা হলো গ্রামে কুকুর-বেড়ালের সঙ্গে অনেকের সখ্য থাকলেও শহর এলাকায় রাস্তাঘাটে থাকা কুকুরকে অনেকেই বিপজ্জনক বলে মনে করে।
এদিকে নগর পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতি ইকবাল হাবিব বলছেন, এমন দৃশ্য উন্নত দেশের শহরগুলোতে চোখে পড়ে না।
কুকুর নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘কেয়ার ফর পজের’ কর্মকর্তা মঈদ শরীফ জানান, কুকুর নিয়ে উদ্বেগ কমাতে দুটি পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। একটি হলো গণ-টিকা দেয়া আর অন্যটি হলো যতযত্র কোন ধরনের মৃরদেহ যেন পড়ে না থাকে সেটা নিশ্চিত করা।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান জানান, কুকুরের বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা আর কুকুরের টিকা কর্মসূচি জোরদার করে নিরাপদ সহবস্থান নিশ্চিত করাই তাদের এখনকার লক্ষ্য।
আর স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, কুকুরের কামড় নিয়ে যাতে উদ্বেগ কমে সেজন্য ইতোমধ্যে কুকুরকে তিন ধাপে প্রায় ২২ লাখ ৫১ হাজার ডোজ জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা দেয়া হয়েছে। এর বাইরেও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে দেশের তিনশরও বেশি হাসপাতালে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা