প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ৩:০৯ : অপরাহ্ণ
জানা যায়, কোম্পানিটি বেশ কয়েক বছর ধরে কর্মীদের এমন সুবিধা দিয়ে চলেছে। আর এ কারণে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীদের মধ্যে চাকরি ছাড়ার হার মাত্র ১০ শতাংশ। যেখানে ইনফোসিস বা উইপ্রোর মতো নামিদামি প্রতিষ্ঠানেও চাকরি ছাড়ার হার দেখা যায় ২০ শতাংশের বেশি। বর্তমানে এসএমআই কোম্পানিটি ৭৫০ জনেরও বেশি কর্মী নিয়োগ করে। আর তাদের মধ্যে ৪০ শতাংশ কর্মী অন্তত পাঁচ বছর এই কোম্পানিতে থাকেন।
এসএমআইয়ের যাত্রা শুরু হয় ২০০৬ সালে দেশটির তামিলনাড়ুর সিভাকাসিতে। এর পর প্রতিষ্ঠানটির পরিসর বাড়তে থাকলে কর্মী পাওয়া অনেকটা কঠিন হয়ে পড়ে। এ কারণে ২০১০ সালে তারা বাধ্য হয়ে ঐ রাজ্যেরই মাদুরাইয়ে চলে যায়।
প্রতিষ্ঠানটির যাত্রার শুরু থেকেই কর্মীদের বিয়ের বিষয়ে প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। সঙ্গী খুঁজে দেওয়া ও বিয়ে করলে বেতন বৃদ্ধির সুবিধা ছাড়াও তারা আরো একটি নীতি গ্রহণ করে। আর সেটি হচ্ছে বছরে দুবার কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি হবে ছয় থেকে আট শতাংশ। গত বছরে করোনা সংক্রমণের কারণে যেখানে ভারতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যখন কর্মী সংকোচন নীতিগ্রহণ করেছিল, তখনো এই প্রতিষ্ঠানটি বছরে দুবার বেতন বৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছিল। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের সেরা কর্মীদের জন্য বিশেষ সুবিধা তো থাকেই।
এসএমআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা এমপি সেলভা গণেশ তার প্রতিষ্ঠান নিয়ে বলেন, এখানে বেশ কিছু দীর্ঘমেয়াদি কর্মচারী রয়েছে। তারা অন্য কোথাও যাবে এ ভাবনা তাদের মাথায় আসার সুযোগ দেয় না। এ ধরনের কোনো চিন্তা তাদের মাথায় আসার আগেই আমরা তাদের প্রাপ্য প্রদান করি। কর্মচারীরা যখন কোনো চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়, তখন তারা সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।