প্রকাশ: ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ১০:২১ : পূর্বাহ্ণ
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পোষ্য কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রশাসন। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক যে সুবিধা রয়েছে সেটা বিবেচনা করার জন্য একটি কমিটি গঠনের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে, বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) পোষ্য কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন দেয়া হবে-এ কথা জানিয়ে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভায় পোষ্য কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন নানাভাবে বঞ্চিত হয়েছে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক যে সুবিধা রয়েছে, সেটা বিবেচনা করার জন্য একটি কমিটিও করা হয়েছে।
পোষ্য কোটা পুরোপুরি বাতিলে মধ্যরাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষা থেকেই বাতিল হবে পোষ্য কোটা। এ সিদ্ধান্তের খবরে প্রায় ৫ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে দ্বিতীয় দফায় আমৃত্যু গণঅনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে আসেন এবং সেখানে তালা ঝুলিয়ে দেন। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরে শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান নিয়ে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
অন্যদিকে, পোষ্য কোটা বহালের দাবিতে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিকেলে জরুরি সভায় বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। দীর্ঘ আলোচনা শেষে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান পোষ্য কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন।