প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:২১ : অপরাহ্ণ
চট্টগ্রামের বাকলিয়া ও চান্দগাঁও এর জলাবদ্ধতা কমাতে কৃষিখাল খনন গুরুত্বপূর্ণ সুফল বয়ে আনবে বলে আশা করছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। বুধবার ১৭নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডস্থ বড় কবরস্থান সংলগ্ন কৃষি খাল এর খনন কাজের উদ্বোধনকালে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন মেয়র।
মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বর্ষাকালে বহদ্দারহাট-বাকলিয়ায় সবচেয়ে বেশি জলাবদ্ধতা হয় বিধায় এ এলাকার জনগুরুত্বপূর্ণ কৃষিখাল খননের উদ্যোগ নিয়েছি। আমি মেয়র হওয়ার পরে তিন-চারদিনের মধ্যেই এই খাল পরিস্কার করার উদ্যোগ নেই। কিন্তু আজ এখানে এসে দেখছি আবারও খাল ময়লায় ভরে গেছে। তােই এখন ৯০০ ফুটের এই খালটি পরিষ্কার করব। এই খালটি যদি পরিষ্কার হয় সেটা বাকলিয়া, বহদ্দারহাট, চান্দগাঁও এলাকায় বর্ষায় যে জলাবদ্ধতা হয় সেটার পানিগুলো নেমে চাকতাই খালে নামবে এবং চাকতাই খাল থেকে কর্ণফুলী নদীতে চলে যাবে। শুধুমাত্র এই খালটা নয় আমরা যে ৩৬ খাল সিডিএ এর প্রকল্পের অধীনে আছে এর বাইরে যে ২১ টি খাল রয়ে গেছে এই ২১ টা খাল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে পরিস্কার করব।
পাশাপাশি সেকেন্ডারি টার্সিয়ারি স্টেজে যে কাজগুলো আছে, অর্থ্যাৎ এখানে কৃষিখালে রিটেনিং ওয়ালগুলো নেই। কাজেই আমাদের একটা প্ল্যান আছে এখানে রিটেনিং ওয়েলগুলো আমরা সেখানে করে দিব এবং সেখানে অনেকেই খাল দখল করে কিন্তু ঘরবাড়ি নির্মাণ করেছে। বিএস সিট অনুযায়ী যেখানেই কেউ জোর করে খালের ভূমি দখল করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করা হবে। আমরা চাই এই শহর আমাদের সবার তাই সবাই মিলে এই শহরকে আমরা সুন্দর রাখবো। এই খাল দিয়ে একসময় পণ্য পরিবহন করতো, সাতার কাটত। এই খাল পুনর্খনন করে আমরা খালের স্বাভাবিক জলপ্রবাহ ফিরিয়ে দিতে চাই।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন বলেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসণে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন। আমরা চাই না যে এইবার বর্ষা মৌসুমে আপনারা সেই কষ্টটা পান যে কষ্টটা কয়েক বছর ধরে আপনারা পেয়ে আসছেন। আমরা জানতে পারলাম যে আসলে খাল অবৈধ দখলের শিকার হচ্ছে সেজন্য আমাদের জনজীবনটাই পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে এবং আমরা খারাপ অবস্থার দিকে চলে যাচ্ছি, আমাদের জীবন যাত্রাটাই হয়তো সেইভাবে যাপন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমরা সরকারের প্রশাসন হিসেবে যেটা সিদ্ধান্ত পেয়েছি সেটা হচ্ছে যে আমরা সকলে মিলে সিডিএ, ওয়াসা,পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ আরো যে যে কয়টা সংস্থা রয়েছে আমরা এখন নিয়মিত বসছি এবং আমরা আমাদের মধ্যে সমন্বয়ের ক্ষেত্র সৃষ্টি করে সিটি কর্পোরেশনকে সহায়তা করছি। যেন সিটি কর্পোরেশন আপনাদেরকে একটা সুন্দর শহর উপহার দিতে পারে। যদি কেউ আমাদেরকে প্রতিহত করতে চায় তাহলে খাল দখলকারীদের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ প্রয়োজনীয় শক্তি প্রয়োগে পিছপা হবনা।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীসহ পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ।