প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১০:৩৮ : পূর্বাহ্ণ
কক্সবাজারের মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা আমদানি বন্ধ থাকায় উৎপাদন বন্ধের ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে বর্তমানে ২ লাখ ৮০ হাজার টন কয়লা রয়েছে। যা দিয়ে এক থেকে দেড় মাস উৎপাদন চালু রাখা সম্ভব বলে জানিয়েছে কর্মকর্তারা। এছাড়া মালামাল চুরি, পাচার, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে বেহাল অবস্থায় রয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। এই কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে জাতীয় গ্রিডে এর প্রভাব পড়বে বলে আশংকা জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের।
২০২৩ সালের জুলাই ও ডিসেম্বর মাসে কক্সবাজারের মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের দু’টি ইউনিট চালু করা হয়। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জাপানের সুমিতমো করপোরেশনের মাধ্যমে ২২ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা আনা হয়। চুক্তি অনুযায়ী কয়লার সবশেষ চালান আসে আগস্টের মাঝামাঝি। তবে গত আগস্ট মাসে জাপানি প্রতিষ্ঠানটির সাথে চুক্তি শেষ হয়েছে। এই কোম্পানির সরবরাহ করা কয়লার মধ্যে অবিশিষ্ট রয়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন। যা দিয়ে উৎপাদন চালু রাখা যাবে আগামী এক থেকে দেড় মাস।
নিয়ম অনুযায়ী সুমিতমো করপোরেশনের সরবরাহ করা কয়লা শেষ হওয়ার আগেই কোলপাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি দরপত্র আহবানের মাধ্যমে কয়লা কেনার নিয়ম ছিল। কিন্তু শীর্ষ কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে কয়লা কেনা আটকে গেছে। উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ানো বিষয়টি রায়ের অপেক্ষায় বর্তমানে আপিল বিভাগে আছে।
এদিকে, গত ৫ই আগস্ট সরকার পতনের পর স্থানীয় কিছু দুর্বৃত্তদল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায় ঢুকে লুটপাটের চেষ্টা চালায় বলে জানিয়েছেন প্রকল্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিতরা।
এছাড়া প্রকল্পের ভেতর থেকে কোটি কোটি টাকার মালামাল সরিয়ে নেয়ার অভিযোগ আছে প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। সর্বশেষ গত ৩১শে আগস্ট প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ ও প্রধান প্রকৌশলী মনিরুজ্জামানের নির্দেশে একটি জাহাজে করে সরিয়ে নেয়ার সময় ১৫ কোটি টাকার তামার ক্যাবল জব্দ করে নৌ বাহিনী। এসময় আবুল কালাম আজাদসহ আটক করা হয় এর সাথে জড়িত ৫ জনকে। এ ঘটনায় একটি মামলাও হয়েছে।