প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১০:২০ : পূর্বাহ্ণ
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ-এলাকায় অবস্তানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে রুপান্তরিত হয়েছে। এটি উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চরণশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্রবন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এতে করে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
একই সাথে স্থল ভাগে নিম্নচাপের প্রভাবে ও বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় এর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের ১৩ জেলার ওপর দিয়ে দুপুরের মধ্যে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পাওে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার(১৪ই সেপ্টেম্বর) আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া এক সতর্ক বার্তায় এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজশাহী, পাবনা, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক দিক থেকে ঘন্টায় ৬০-৮০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ২ নম্বর নৌ হুশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘন্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে, আবহওয়ার আরেক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সেই সাথে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
এছাড়াও পরবর্তী পাঁচ দিনের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পারে বলেও জানিয়েছে আবহওয়া অধিদপ্তর।