প্রকাশ: ৬ জুলাই, ২০২৪ ১০:১১ : পূর্বাহ্ণ
রাজস্ব আয়ে রেকর্ড গড়েছে দেশের অন্যতম বড় রাজস্ব আহরণকারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে ৭৭ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যের বিপরীতে রাজস্ব আদায় করেছে প্রায় ৬৯ হাজার কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ১০ শতাংশ। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এই সাফল্যকে স্বাগত জানিয়ে শুল্কায়ন প্রক্রিয়া পুরোপুরি অটোমেশনের আওতায় আনার তাগিদ দিলেন ব্যবসায়ীরা। পরামর্শ দিলেন ব্যবসা বান্ধব নীতি বাস্তবায়নের।
দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ৯০ শতাংশ হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। এই বন্দর দিয়ে আনা-নেয়া করা পণ্যের শুল্কায়ন হয় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের মাধ্যমে। গেল অর্থবছরে ডলার সংকটে চাহিদা মতো পণ্য আমদানি করতে পারেননি আমদানিকারকরা। তবে পণ্য আমদানি কম হলেও ডলারের উচ্চমূল্যের কারণে সার্বিক রাজস্ব আদায় বেড়েছে চট্টগ্রাম কাষ্টম হাউসে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম জানান গত অর্থবছরে চট্টগ্রাম কাষ্টম হাউসের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৭৭ হাজার কোটি টাকা। শেষ পর্যন্ত ৬৮ হাজার ৮৬৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা রাজস্ব আয় করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তার আগের অর্থবছরে চট্টগ্রাম কাষ্টম হাউস ৬১ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করেছিল। অর্থাৎ রাজস্ব আদায়ে গত অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ শতাংশেরও বেশি।
লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি থাকলেও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার এই সময়ে এমন রেকর্ড দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক বলে মনে করেন কাস্টম হাউস ও ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা বলছেন, রাজস্ব আদায়ে সাফল্য অর্জনের পাশাপাশি শুল্কায়ন সম্পূর্ণ অটোমেশন করা জরুরি। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে হয়রানি বন্ধ করা এবং শুক্র ও শনিবার শুল্কায়ন সম্পূর্ণ চালু রাখার তাগিদও দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।