প্রকাশ: ২০ জুন, ২০২৪ ২:৪১ : অপরাহ্ণ
উজান থেকে নেমে আসা ঢল আর অতিবৃষ্টির কারণে আগেই মতোই অপরিবর্তিত আছে সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি। বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে এখনও বৃষ্টি থামেনি। তবে, সিলেটের পরিস্থিতি কিছুটা ভালোর দিকে।
গতকাল বিকেল থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় সুরমা নদীর পানি ১৩ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো। এতে নদী পাড়ের বসতঘর থেকে পানি নেমেছিল কিছুটা।
তবে আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকাল থেকে আবারও বৃষ্টি শুরু হলে অবস্থা আবারও যেই সেই, পানি উঠে পড়ছে ঘরে। এমন পরিস্থিতিতে দুর্ভোগ আর দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছে সুনামগঞ্জবাসী।
এদিকে বেড়েই যাচ্ছে হাওরের পানি। ফলে পরিস্থিতি বেশি অবনতির আশঙ্কায় রয়েছে হাওর এলাকাগুলো। তাহিরপুরের সাথে শহরের সড়ক যোগাযোগ এখনও বিচ্ছিন্ন।
বন্যা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় গত দুইদিন আগেই বন্ধ ঘোষণা করা হয় সুনামগঞ্জ জেলার সকল পর্যটন স্পট। প্রশাসনের তথ্যমতে প্রাণ বাঁচাতে ইতোমধ্যে সরকারি-বেসরকারি ৫৪১ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ১৮ হাজার মানুষ। সেখানে সরকারের পাশাপাশি রান্না করা খাবার দিচ্ছে সামাজিক সংগঠনগুলো।
তবে চাহিদার তুলনায় এই সহযোগিতা অপ্রতুল বলে জানান আশ্রিতরা। সবার খাবার নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। ভারী বৃষ্টিপাতের আভাস থাকায় পানি আরও বৃদ্ধি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এদিকে, সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। উজানে ভারি বৃষ্টি না হওয়ায় নদীর পানি কিছুটা কমেছে। কুশিয়ারা ছাড়া সবকটি নদ-নদীর পানিই কমছে বলেও জানা গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গত ১২ ঘণ্টায় সুরমা, সারি, গোয়াইন, ডাউকি নদীর পানি কমেছে। তবে, বিপৎসীমার উপর দিয়ে বয়ে চলছে সুরমা। এ অঞ্চলেও মানবেতর জীবনযাপন করছে লাখ লাখ বানভাসী মানুষ। অনেকে ঠাঁই নিয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রে। আশ্রিতদের অভিযোগ, তারা সেখানে পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছেন না।