প্রকাশ: ১ জুন, ২০২৪ ১০:৩৪ : পূর্বাহ্ণ
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও এনায়েতপুরে যমুনা নদীর তীব্র ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বাড়ি-ঘর ও ফসলি জমি। সম্প্রতি এই দুই অঞ্চলের প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকায় বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি ও ফসলি জমি বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা।
বৃষ্টি আর উজানের ঢলে যমুনা নদীতে বাড়ছে পানি। তীব্র স্রোতের সাথে পাল্লা দিয়ে শুরু হয়েছে ভাঙনও। এতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর এবং এনায়েতপুরের জালালপুর, আরকান্দী, পাচিল, পারমহনপুর ও হাট পাচিল গ্রামে নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙনের কবলে পড়ে দিশেহারা এসব অঞ্চলের মানুষ। এছাড়া ভাঙনের মুখে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ, মসজিদ, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসাসহ বসতভিটা ও ফসলি জমি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাড়ে ৬শ কোটি টাকার প্রকল্প চালু থাকলেও তা কোন কাজে আসছে না। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনও ভাঙনের জন্য দায়ী বলে জানান তারা।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, ভাঙন রোধে বড় প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। আপাতত বালির বস্তা ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা চলছে। শিগগিরি প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ হবে।
সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর ডান তীর রক্ষায় এনায়েতপুর থেকে শাহজাদপুরের কৈজুরী পর্যন্ত ২০১৯ সালে কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। যার ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৬শ কোটি টাকা।
সূত্র: বৈশাখী অনলাইন