প্রকাশ: ৭ জুন, ২০২২ ১১:৩৪ : পূর্বাহ্ণ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনো পুরোপুরি নেভেনি। দুর্ঘটনার ৫৬ ঘণ্টা ধরে আগুন নেভাতে নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
আজ মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, চট্টগ্রাম বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মবিলাইজিং অফিসার কফিল উদ্দিন।
তিনি বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে থাকা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছি।
তারা আমাদের নিশ্চিত করেছেন এখনো আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কিছু কনটেইনারের ভেতরে এখনো আগুন জ্বলছে। আগুন পুরোপুরি নির্বাপণে কাজ করে যাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। ঘটনাস্থলে কাজ করছেন সেনাবাহিনী সদস্যরাও।
তিনি বলেন, এখনও কিছু কনটেইনার থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। কনটেইনারের মুখ খুলে সেখানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানি দিচ্ছেন। তারপর কনটেইনারগুলোকে আলাদা করে রাখা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিটের সদস্যরা পালা করে সেখানে কাজ করছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে রোববার (৫ জুন) থেকে কাজ করছে সেনাবাহিনীর একটি টিম। সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮ ব্রিগেডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম হিমেল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ডিপোতে আরও চারটি কনটেইনার রয়েছে, যেগুলোর মধ্যে রাসায়নিক পদার্থ আছে। সেগুলো আলাদা করে রাখা হয়েছে। সেগুলোতে কী ধরনের রাসায়নিক আছে সে তথ্য এখনও জানি না।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪২ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন ১৮২ জন।
এই কনটেইনার ডিপোতে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড রাসায়নিক থাকায় সেখানে এত বড় বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আর এই রাসায়নিকের কারণেই আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার ফাইটারদের।
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। আগুন নেভানোর চেষ্টার মধ্যে ঘণ্টা দুয়েক পর রাসায়নিক ভর্তি কনটেইনারে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে নিহত হন ৪২ জন। আহত হন ১৮২ জন।