প্রকাশ: ১ জুন, ২০২২ ৪:২১ : অপরাহ্ণ
বিয়ের মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করার জন্য ফটোগ্রাফারকে সঙ্গে আনতেই ভুলে গিয়েছেন পাত্র। জীবনের এমন বিশেষ দিনে কনে সাজে ছবি উঠবে না, এমনটা কি মেনে নেওয়া যায়! মেনে নিতে পারেননি কনেও।
তাই বিয়েটাই ভেঙে দিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ বিয়ে, নতুন সংসার, স্বামীর থেকে তার কাছে যে অনেক বেশি জরুরি ছিল ফটোগ্রাফারের উপস্থিতি, তা এক বাক্যে বুঝিয়ে দিয়েছেন কনে।
ভারতীয় গণমাধ্যম টাইম নাও নিজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, উত্তর প্রদেশের কানপুর দেহাত জেলার একটি গ্রামে ঘটে এমন বিস্ময়কর ঘটনা
প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলপুর থানার অন্তর্গত এক গ্রামের কৃষক পরিবারের মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছিল ভোগনিপুরের এক যুবকের সঙ্গে। নিজের সঞ্চয়ের প্রায় সবটুকু দিয়ে বিয়ের আয়োজন করেছিলেন কৃষক বাবা।
বর এবং বরযাত্রীদের আপ্যায়নের সমস্ত ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। কিন্তু মালাবদলের সময় ঘটে বিপত্তি। কনে বুঝতে পারেন, বরপক্ষ সঙ্গে করে কোনো চিত্রগ্রাহক আনেনি। অমনি বেঁকে বসলেন তিনি।
মালাবদলের মতো জীবনের অতি স্মরণীয় মুহূর্ত ফ্রেমবন্দি হবে না, তা একেবারেই মেনে নিতে পারেননি কনে। ব্যস, তখনই বিয়ে বাতিল করে সোজা প্রতিবেশীর বাড়ি চলে যান তিনি।
প্রত্যেকে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। তার যুক্তি, ‘যে নিজের বিয়েটাকেই বিশেষ গুরুত্ব দেয় না, সে ভবিষ্যতে কীভাবে আমার খেয়াল রাখবে।’
ঘটনায় থানা-পুলিশকেও ডাকা হয়। কিন্তু দুই পক্ষ সমঝোতা করে ব্যাপারটা মিটিয়ে নেয়। ঠিক হয়, বরপক্ষকে খরচের ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেয়া হবে। বরপক্ষও মিটিয়ে দেবে পাওনাগণ্ডা।
যদিও ফটোগ্রাফার না থাকার কারণে যে বিয়ে ভাঙতে পারে, তা যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না অনেকেই। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন, কোন দিকে এগোচ্ছে যুবপ্রজন্ম!