প্রকাশ: ২৫ আগস্ট, ২০২৩ ৩:০২ : অপরাহ্ণ
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ঢলের ছয় বছর অতিবাহিত হলো। মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০১৭ সালের এই দিনে রাখাইন রাজ্য থেকে এদেশে আশ্রয় নেয় কয়েক লাখ রোহিঙ্গা। এপর্যন্ত আশ্রিতদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লাখে। কিন্তু সফল হচ্ছে না প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ। মিয়ানমারের অনাগ্রহ আর দেশে ফিরে যেতে রোহিঙ্গাদের দেয়া নানা শর্তের কারণে বিলম্বিত হচ্ছে প্রত্যাবাসন। দীর্ঘ হচ্ছে রোহিঙ্গা সংকট। কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গারা নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কে দিন কাটছে স্থনীয়দের।
পেছনে জ্বলছে গ্রামের পর গ্রাম, চলছে জঘন্যতম হত্যাযজ্ঞ; ২০১৭ সালের এই সময়ে প্রাণে বাঁচতে জন্মভূমির মায়া ছেড়ে নাফ নদীর এপার-ওপারে কাদামাটি পেরিয়ে লাখো রোহিঙ্গার অনিশ্চিত এক যাত্রায় হতবাক হয়েছিল বিশ্ব।
অসংখ্য মানুষের অজানা পথ পাড়ি দেওয়ার হৃদয়স্পর্শী সেই মুহূর্তগুলো ছয় বছর পেরিয়ে এখন রূপ নিয়েছে কষ্টের এক জীবনে, পরিণত হয়েছে দীর্ঘশ্বাসে। মিয়ানমারের প্রতিশ্র“তি আর বাংলাদেশের নানামুখি প্রচেষ্টার পরও একজন রোহিঙ্গাও ফিরতে পারেননি নিজের বাসভূমে। বরংচ সংকট বাড়ছে। কক্সবাজারের ৩৪টি ক্যাম্পে থাকা প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গার অনেকেই জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে গড়ে উঠেছে একাধিক সশস্ত্র গোষ্ঠী। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হিসেব অনুযায়ি এ পর্যন্ত ১৮৯টি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তারা। অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধের ঘটনাও ঘটছে। এতে আতঙ্কে যেমন রয়েছে স্থানীয়রা তেমনি রয়েছে নিরিহ রোহিঙ্গারাও।
উদ্বেগে দিন পার করা কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দারা চাইছেন রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন। ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে প্রশাসন কাজ করছে। আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তারা জানালেন, গত এক বছরে উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে ১৭৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমান গুলি ও দেশি বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র।
নোয়াখালীর ভাসানচরে গড়া আশ্রয় শিবিরে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সূত্র – বৈশাখী অনলাইন