প্রকাশ: ৯ জুলাই, ২০২৩ ২:০১ : অপরাহ্ণ
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল আর ভারী বৃষ্টিতে টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে পানি বাড়ছে। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নদী ভাঙন। প্রতিদিন নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে বাড়িঘর ও কৃষিজমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। এতে নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা আতংকে রয়েছে। অনেকে সহায়-সম্বল হারিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এদিকে, ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এভাবেই চোখের সামনে ভেঙে যাচ্ছে বসতভিটা, ফসলি জমি ও গাছপালা। নিত্যদিন এমন ভাঙনে সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে নতুন নতুন পরিবার।
চলতি বছর এরইমধ্যে টাঙ্গাইল সদর, ভূঞাপুর, কালিহাতি ও নাগরপুর উপজেলার ২০টি গ্রামের তিন শতাধিক বাড়ি-ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। প্রতিদিনই দীর্ঘ হচ্ছে ভাঙন কবলিত মানুষের তালিকা। শত শত হেক্টর ফসলি জমিও নদীগর্ভে চলে গেছে। এই অবস্থায় ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়াসহ ত্রাণ সহায়তার দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা। এমন দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভও করেছে স্থানীয়রা।
ভাঙন রোধে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন এলাকায় বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন।
এদিকে, সিরাজগঞ্জে গেল দুই সপ্তাহের ভাঙনে ব্রাহ্মণগ্রাম, আড়কান্দি, জালালপুরসহ বিভিন্ন এলাকার দুই শতাধিক বসতভিটা নদীগর্ভে চলে গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
তবে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, নদীভাঙন রোধে সিসি ব্লক তৈরীর কাজ চলছে।
এছাড়া, নদীভাঙন কবলিত বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধে বালুর বস্তা ফেলাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সূত্র – বৈশাখী অনলাইন