প্রকাশ: ৪ জুন, ২০২৩ ১০:৪৯ : পূর্বাহ্ণ
খোদ রাজধানীতেই দিনে লোডশেডিং হচ্ছে ৫ থেকে ৭ ঘণ্টা। আর বাইরের অবস্থা তো আরও ভয়াবহ। সংকট সমাধানে ১০ দিনের মধ্যে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।তীব্র গরম আর লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। ঘরে-বাইরে কোথাও নেই স্বস্তি।এক শিশু জানায়, অনেক গরম লাগে। দেড় থেকে দুই ঘণ্টা পর আসে কারেন্ট। এতে পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটে। রাতে ঘুম আসে না।
গত কয়েকদিনের তাপদাহের সঙ্গে বিদ্যুৎবিভ্রাটের শিকার সবাই। দৈনিক ৫ থেকে ৭ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে।এক গৃহিণী বলেন, একবার কারেন্ট গেলে কী যে সর্বনাশ ঘটে। মরার কারেন্ট আসতে চায় না। গেলে দেড় থেকে ২ ঘণ্টা থাকেই। গরমই সহ্য করতে পারি না।এক বাসার কর্তা বলেন, হাতপাখা দিয়ে আর কতক্ষণ গরম এড়ানো যায়? কাজকর্ম সবকিছুই ব্যাহত হচ্ছে।
এ গরমে ডেসকো ও ডিপিডিসি দুটি সংস্থার বিদ্যুতের চাহিদা গড়ে প্রায় ৩ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ঘাটতি থাকে ৭০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত। যা পূরণ করা হয় লোডশেডিং করে। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, গত ১ সপ্তাহে আমাদের লোডশেডিংয়ের পরিমাণটা ৩৫০ থেকে ৪০০ মেগাওয়াট। একেকদিন একেকরকম হয়। আমাদের চাহিদাওটা সেরকম।রাজধানীর বাইরে দেশের বিভিন্ন জেলায় লোডশেডিংয়ের পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ। এক প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দা বলেন, বাসায় টেকা যাচ্ছে না। দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকলে একসময় তা চলে যাচ্ছে।
এক রিকশাওয়ালা বলেন, গরমে আমরা টিকতে পারি না। প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা লোডশেডিং হলে আমরা টিকবো কীভাবে। গাড়ি চালিয়ে কেমনে খাবো? বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে আগামী ১০ দিনের মধ্যে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর কথা জানান সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, আগামী ৫ থেকে ৬ দিন, সর্বোচ্চ ১০ দিনের মধ্যে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়ে যাবে। আসছে কয়েকদিনের মধ্যে লোডশেডিং অনেকটা কমবে। চলমান বিদ্যুৎ সংকট একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা।
সূত্র – চ্যানেল২৪