চট্টগ্রাম, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪ , ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাত পোহালেই হিলিতে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম

প্রকাশ: ২ জুন, ২০২৩ ৩:০৭ : অপরাহ্ণ

পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি না মেলায় দিনাজপুরের হিলিতে আবারও বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ২ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। একদিন পূর্বে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭০টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ৭২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিন্ম আয়ের মানুষ

শুক্রবার (২ জুন) সরেজমিন হিলির কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারের প্রত্যেকটি দোকানেই যথেষ্ট পরিমান দেশিয় পেয়াজের সরবরাহ রয়েছে। প্রতিটি দোকানেই থরে থরে সাজানো রয়েছে দেশিয় পেঁয়াজ কিন্তু তারপরেও দাম বৃদ্ধি।

হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আশরাফুল ইসলাম বলেন, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজিনিসের দাম বেড়েই চলেছে। যারা বড়লোক টাকা পয়সা রয়েছে তাদের তো সমস্যা নেই, যত সমস্যা আমাদের মত
মানুষদের। যে পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে দাম থাকে সেই পেঁয়াজের দাম গত ঈদের পর থেকেই বাড়তি। দাম বাড়তে বাড়তে এখন ৭২ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। রাত পোহালেই পেঁয়াজের দাম বাড়ছে
এত দাম বাড়লে আমরা সাধারণ মানুষ চলবো কিভাবে আর কিভাবে কিনে খাবো। এখনই যে দাম বাড়ছে সামনে কুরবানির ঈদ তখন যে কি হয় বোঝা যাচ্ছে না।

 

 

বাজারে আসা নারগিস সুলতানা বলেন, বাজারে যেভাবে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে তাতে করে আমাদের পেঁয়াজ খাওয়ায় ছেড়ে দিতে হবে। এছাড়াতো কোন উপায় নেই আমাদের। বাড়তি দামের কারণে আগে যেখানে এক কেজি কিনতাম সেখানে এখন হাফ কেজি কিনছি। আরও দাম বাড়লে সেই পরিমান আরও কমিয়ে পেঁয়াজ ছাড়াই তরকারি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।

তবে ব্যবসায়ীরা বলছে সরবরাহ কম যার কারণে দাম বেশী। কিন্তু যেই ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির কথা হচ্ছে সেই পেঁয়াজের দাম রাতারাতি কমে যাচ্ছে।

হিলি বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী শাকিল খান বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই দেশিয় পেঁয়াজ দিয়েই চাহিদা মিটছিল। সরবরাহ ভালো থাকায় দাম কমতির দিকেই ছিল। সরবরাহ কমের কথা বলে ঈদের পর থেকেই মোকামে পেঁয়াজের বাজার বাড়তি হতে শুরু করে।

 

 

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, ঈদের পর থেকে দেশে পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠে। এমন অবস্থায় পেঁয়াজের সররবাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অনুরোধ জানিয়ে আসছি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতির কথা বলেছিলেন বানিজ্যমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রী।

 

 

এই খবরে বন্দরের কয়েকজন আমদানিকারক ২০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি চেয়ে আবেদন করে রেখেছেন। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য অন্যান্য যেসব প্রক্রিয়াগুলো সেগুলোর প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন আমদানিকারকরা। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমদানির অনুমতি না দেওয়ায় দেশে পেঁয়াজের বাজার আরও বাড়ছে।

 

 

জাতীয় ভোক্তা অধিকার দিনাজপুর এর সহকারি পরিচালক মমতাজ বেগম বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রুখতে ও দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে আমাদের পক্ষ থেকে নিয়মিতভাবে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। কেউ যদি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি করে সেক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানাসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 

সূত্র – চ্যানেল২৪

Print Friendly and PDF