প্রকাশ: ২৫ মে, ২০২৩ ১০:০৫ : পূর্বাহ্ণ
আজ ১১ই জ্যৈষ্ঠ; জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪ তম জন্মদিন। ১৮৯৯ সালের এই দিনে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়ার এক সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহন করেছিলেন তিনি। কাব্যস্বাতন্ত্র্যে নতুনভাবে উদ্ভাসিত হওয়া কবি নজরুল বাংলা সাহিত্যে এসেছিলেন অন্যায় আর শোষনের বিরুদ্ধে চির বিদ্রোহ হয়ে। মাত্র ২৩ বছরের সাহিত্য জীবনে তিনি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। তাঁর ঐশ্বর্যময় দীপ্তিতে আজো আলোকিত বাংলা সাহিত্য।
প্রেমের যে গভীর অনুভুতি, কাজী নজরুল ইসলাম তা অনবদ্যভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন সৃজনছন্দে। যদিও বাংলা সাহিত্যে এই কবির পরিচয় বিদ্রোহী হিসেবে। নিপীড়িত, নির্যাতিত, বঞ্চিত, লাঞ্চিত মানুষের প্রতি প্রেম তাকে বারে বারে বিদ্রোহী করে তুলেছে , গেয়েছেন সাম্যের গান।
১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ই জ্যৈষ্ঠ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়ায় জন্মগ্রহন করেন কাজী নজরুল ইসলাম। সৃজনশীলতায় যিনি নবযাত্রায় নিজেকে বিকশিত করেন। তাঁর চেতনার মূল উৎস অসা¤প্রদায়িকতা ও মানবতাবোধ। তাঁর সঙ্গীতে যে শাস্ত্রীয় ধারা রয়েছে তা আকৃষ্ট করে শিল্পী ও শ্রোতাদের।
তিনি কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, সম্পাদক, রাজনীতিক, গীতিকার, গায়ক, সঙ্গীত পরিচালক, অভিনেতা আরো অনেক কিছু। সবই তার সৃষ্টির বহি:প্রকাশ। অন্তরে তিনি পরম প্রেমিক আর যাবতীয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে দুর্বিনীত এক প্রতিবাদী কন্ঠ।
নজরুল যেন ফিরে ফিরে আসে নতুনে, তারুণ্যে। তার সৃষ্টি সুখের উলাসে আজো বাঙালীর চোখ হাসে মুখ হাসে। জন্মদিনে অশেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য কবির প্রতি।