প্রকাশ: ১৪ মে, ২০২৩ ১১:৩৫ : পূর্বাহ্ণ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এর প্রভাবে সেন্টমার্টিনসহ কক্সবাজার উপকূলে বাতাসের গতি বেড়েছে। রোববার (১৪ মে) সকাল ৯টা থেকে এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়েছে। বিকেল বা সন্ধ্যা নাগাদ যা উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাব শুরু হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার দুই দ্বীপাঞ্চল সেন্ট মার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপে। অতি প্রবল এ ঝড়ের প্রভাবে রোববার সকালে সেন্ট মার্টিনে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে প্রবল বাতাস ছিল শাহপরীর দ্বীপে।
এর প্রভাবে কক্সবাজারে দু’দিন ধরে বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করছে। তবে রোববার সকাল থেকে টেকনাফ উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা আছে বিদ্যুৎবিহীন। এ বিষয়ে টেকনাফের ইউএনও মো. কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, বাতাসের গতিবেগ বাড়তে থাকায় কয়েকটি স্থানে গাছ উপড়ে পড়ছে বিদ্যুৎ লাইনের ওপর। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। এজন্য সমুদ্র উপকূল এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ সাময়িক বন্ধ আছে।
তিনি আরও জানান, বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ইতোমধ্যে দেড় লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
শনিবার (১৩ মে) দিবাগত রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিফ্রিংয়ে আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানান, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব উপকূলীয় এলাকায় পড়তে শুরু করেছে।
তিনি আরও জানান, এটি রোববার (১৪ মে) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করবে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারি বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।
এদিকে সকাল ৮টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৮ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, উপকূলের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। সকাল ৬টায় এটি উপকূল থেকে ৩০৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে একটানা বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়া আকারে ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।
সূত্র – চ্যানেল২৪