প্রকাশ: ১৪ মে, ২০২৩ ১১:২৫ : পূর্বাহ্ণ
ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় মিয়ানমারে সর্বোচ্চ স্তরের সতর্কতা জারি করেছে জান্তা সরকার। সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকা রাখাইন রাজ্য থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ১ লাখের বেশি মানুষকে। জাতিসংঘের আশঙ্কা, ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন দেশটির ৬০ লাখ বাসিন্দা।
এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে মিয়ানমারে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হতে যাচ্ছে বলে সেই দেশের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। পৃথক দুই প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম সিজিটিএন এবং মিয়ানমারের অন্যতম প্রধান সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতী।
দ্য ইরাবতী জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখার ধ্বংসযজ্ঞের আশঙ্কায় মিয়ানমারের উপকূলের আশপাশের এলাকার লক্ষাধিক বাসিন্দা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা রোববার বিকেলে রাখাইনের সিট্যুয়ের কাছে আঘাত হানতে পারে এবং এর আগেই লক্ষাধিক রাখাইন বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছেড়েছেন।
ইরাবতী বলছে, রাখাইনের সিট্যুয়ের পাশাপাশি কিয়াউকফিউ, মংডু, রাথেদাউং, মাইবোন, পাউকতাও এবং মুনাং শহরে লাল সতর্কতা জারি করেছে মিয়ানমারের জান্তা। এছাড়া এই শহর ও এলাকাগুলোতে একই সতর্কতা জারি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা-বিরোধী বেসামরিক জাতীয় ঐক্য সরকার।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতের আগে সিট্যুয়ের প্রায় ৭৫ শতাংশ বাসিন্দা তাদের বাড়ি ছেড়েছেন বলে জানিয়েছেন শহরটির বাসিন্দা ও লেখক ওয়াই হিন অং। রাখাইনের এই শহরের জনসংখ্যা এক লাখেরও বেশি এবং মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার কাজে সহায়তা করেছেন ওই লেখক।
সূত্র – চ্যানেল২৪