প্রকাশ: ১১ মে, ২০২২ ১০:৫৪ : পূর্বাহ্ণ
শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে অশনি। আগামী ২৪ ঘণ্টায় যা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এটি উপকূলের কাছে যেতে পারে। তবে স্থলভাগে প্রবেশ করবে না।
এর মানে আম্ফানের মতো ভূ-ভাগে ঢুকবে না অশনি। তবে এর প্রভাবে অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকায় বৃষ্টি হবে। সেই সঙ্গে সমুদ্র উত্তাল থাকবে ।পশ্চিমবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হবে। এছাড়া সেখানে তেমন প্রভাব পড়বে না। অর্থাৎ বাংলাদেশও এ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবমুক্ত থাকবে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে অবস্থান করছিল অশনি। তবে আজ বুধবার (১১ মে) সকালে ভারতের মৌসম ভবন জানিয়েছে, শেষ কয়েক ঘণ্টায় পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোসাগরের ওপর অবস্থিত অশনি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে। শক্তি হারিয়ে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ে।
আগামী কয়েক ঘণ্টায় অশনি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল বরাবর পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে পৌঁছবে। এরপর ধীরে ধীরে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে বাঁক নিয়ে মছলিপত্তমন, নরসাপুর, ইয়ানাম, কাঁকিনাড়া, তুনি ও বিশাখাপত্তনম উপকূলে ধরে এগিয়ে যাবে।
সন্ধ্যার মধ্যে উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল বরাবর পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে চলে আসবে অশনি। এরপর উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। সেই সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের দিকে যাবে এটি। বৃহস্পতিবার (১২ মে) সকালের মধ্যে পরিণত হবে গভীর নিম্নচাপে।
অশনির প্রভাবে আজ অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলের অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হবে। কয়েক স্থানে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে অত্যধিক বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে উপকূলবর্তী ওড়িশায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
সকালের দিকে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল বরাবর ঘণ্টায় ৫৫-৬৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে। দমকা হাওয়ার বেগ কখনও ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটারে উঠতে পারে। দুপুরের দিকে কৃষ্ণ, পূর্ব গোদাবরী, পশ্চিম গোদাবরী ও বিশাখাপত্তনমে ঘণ্টায় ৭০-৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে। দমকা হাওয়ার বেগ কখনও ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটারে পৌঁছতে পারে।