প্রকাশ: ৭ এপ্রিল, ২০২৩ ২:৫৬ : অপরাহ্ণ
নানা নাটকীয়তায় ঢাকা টেস্টে বিশাল ব্যবধানে জয় পেল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। শুক্রবার (৭ মার্চ) ম্যাচের চতুর্থ দিনে দুপুরের বিরতির কিছুক্ষণ পরই ৭ উইকেটে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। হাফ সেঞ্চুরি করে অপরাজিত রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। প্রায় দুই যুগে এটি বাংলাদেশের ১৭তম টেস্ট জয়।
মুশফিকুর রহিম ৪৮ বলে সংগ্রহ করেন ৫১ রান। আর মুমিনুল হক ২২ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন।
আয়ারল্যান্ডের ছুড়ে দেয়া ১৩৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে মাঠে নেমে ২৭ ওভারে ১ বল খেলে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের দেখা যায় সাকিব আল হাসানরা। প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ছিল ৩৬৯। অ্যায়ারল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে করেছিল ২১৪ রান, দ্বিতীয় ইনিংসে তুলেছিল ২৯২ রান।
দুর্দান্ত শুরুর পর সেই পারফর্ম ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন। এতেই যেন বিপদ ডেকে আনে লিটন। মার্ক অ্যাডায়ারের পঞ্চম ওভারের শেষ বলটি শট লেন্থে ছিল। রানের আশায় পুল করতে গিয়ে ঠিকমত টাইমিং না হওয়ায় বল হ্যালমেট ছুঁয়ে স্টাম্পে লাগে। ১৯ বলে ২৩ রান সংগ্রহ করে সাজঘরে ফিরেন তিনি।
লিটনের বিদায় হলেও অপর প্রান্তে ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন অভিজ্ঞ তামিম। শুরু থেকে হাত খুলে শট খেলেছেন। একইভাবে ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করেছেন শান্ত। যদিও বেশি সুবিধা করতে পারেননি তিনি। ৪ রান সংগ্রহের পর স্লিপে আটকে যান। সাজঘরে তার চলে যাওয়ায় দলীয় হাঁফ সেঞ্চুরি হওয়ার আগেই ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
বিরতির আগ মুহূর্ত পর্যন্ত বাকি সময় ভালোভাবেই খেলেছেন মুশফিক ও তামিম। মুশফিকের দুর্দান্ত ব্যাটিং ছিল দেখার মতো। এদিন দেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪ হাজার রানের রেকর্ডও করেন তিনি। এ তালিকায় বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে রয়েছেন তামিম।
বিরতির পর ফিরে বেশি সময় টিকতে পারেননি তামিম। ইনিংসের ২১তম ওভারে আউট হন। ৬৫ বলে ৩১ রান সংগ্রহ করেন তিনি। এরপর মুমিনুল ইসলামকে নিয়ে খেলতে থাকেন মুশফিক। এই ইনিংসেও দুর্দান্ত খেলেন তিনি। ব্যক্তিগতভাবে হাফ সেঞ্চুরি করেন। অবিচ্ছিন্ন এই জুটির ব্যাটেই জয় পায় বাংলাদেশ।