প্রকাশ: ৩ এপ্রিল, ২০২৩ ১:৫৬ : অপরাহ্ণ
পবিত্র রমজান মাসকে রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতে ভাগ করা হয়েছে। আজ শুরু হলো রমজানের দ্বিতীয় দশক মাগফিরাত। গতকাল শেষ হয়েছে রহমতের দশক।মাগফিরাত অর্থ মার্জনা, আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা ও গোনাহ থেকে নিষ্কৃতি লাভ।
মানুষ ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় গোনাহ করে। এটা মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। তবে অস্বাভাবিক হলো গোনাহ করে যাওয়া এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা না করা।
যারা শয়তানের কুপ্ররোচনায় গোনাহ করে ফেলে এবং গোনাহ থেকে মাগফিরাত লাভ করতে পারে না তাদের জন্য মাগফিরাত লাভের বিশেষ সুযোগ হলো আজ থেকে। আল্লাহ রমজানের দ্বিতীয় দশকে বান্দাদেরকে বেশি হারে ক্ষমা করেন।
গোনাহগার বান্দা অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলে তিনি বান্দাকে ক্ষমা করেন। আল্লাহ হলেন পরম ক্ষমাশীল। তিনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন।
রমজানের মাগফিরাতের এ দশকে ক্ষমা পেতে জিকিরের মাধ্যমে মহান আল্লাহকে স্মরণ করতে হবে। আল্লাহকে বান্দা যত বেশি স্মরণ করবে আল্লাহও বান্দাকে ততবেশি স্মরণে রাখবেন। বান্দা যদি আল্লাহর স্মরণে থাকে তবে আল্লাহর নিকটবর্তী হবে। আর আল্লাহর নিকটবর্তী হলেই ক্ষমা পাওয়া সম্ভব হবে।
মাগফিরাত লাভে করণীয় :
হাদিসে বর্ণিত আছে যে, ‘রমজান মাসের প্রতি রাতেই একজন ফেরেশতা ঘোষণা করতে থাকেন, ‘হে পুণ্য অন্বেষণকারী! অগ্রসর হও। হে পাপাচারী! থামো, চোখ খোলো।’ তিনি আবার ঘোষণা করেন, ‘ক্ষমাপ্রার্থীকে ক্ষমা করা হবে। অনুতপ্তের অনুতাপ গ্রহণ করা হবে। প্রার্থনাকারীর প্রার্থনা কবুল করা হবে।’ সুতরাং মাগফিরাত বা ক্ষমা লাভে প্রত্যাশী এ দশকের প্রতি রাতেই গোনাহ মাফে রোনাজারি করবে। আশা করা যায়, রমজানে হাদিসের আমল আল্লাহ তাআলা কবুল করবেন।
মাগফিরাত লাভে প্রত্যাশী মুমিন বান্দার উচিত, আজ সন্ধ্যা থেকেই তারাবি নামাজ যথাযথ আদায় করে চোখের পানি ফেলে আল্লাহর কাছে রোনাজারি করা। অসহায় ব্যক্তিদেরকে ইফতার করানোর মাধ্যমে গোনাহ মাফের চেষ্টা করা।রাতের ইবাদাত-বন্দেগির সঙ্গে সঙ্গে রাতে আল্লাহর সাহায্য কামনায় হাদিসের ওপর আমল করা। তবেই মাগফিরাত বা গোনাহ থেকে ক্ষমা লাভ করা সম্ভব।
সূত্র – চ্যানেল২৪