প্রকাশ: ২ এপ্রিল, ২০২৩ ১১:৪০ : পূর্বাহ্ণ
প্রতি মৌসুম শেষে ইউরোপিয়ান ফুটবলের শীর্ষ গোলদাতার হাতে তুলে দেয়া হয় গোল্ডেন বুট। এই পুরস্কার প্রথম দেয়া হয় ১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে। প্রথমবার পুরস্কারটি জয় করেন বেনফিকার পর্তুগিজ কিংবদন্তি ইউসেবিও। সবচেয়ে বেশি গোল্ডেন বুট পেয়েছেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি। তিনি সর্বোচ্চ ৬বার এটি ঘরে তুলেছেন।
বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে প্রায় চার মাস হতে চলল। ক্লাব ফুটবলের মৌসুমও প্রায় শেষের পথে। স্প্যানিশ লা লিগায় বড় কোনো অঘটন না ঘটলে শিরোপাটা বার্সেলোনার ঘরে যাচ্ছে বলা যায়। ইতালির সিরিআর শিরোপা নাপোলিও ঘরে যাচ্ছে ৮০ ভাগ নিশ্চিত। লিগ ওয়ান, বুন্দেস লিগা ও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা লড়াইয়ে রয়েছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।
এই যখন মৌসুম জুড়ে ক্লাব ফুটবলের অবস্থা তখন আলোচনায় ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট। প্রতিবারের মতো এবারও তাই এটা নিয়ে হচ্ছে বেশ মাতামাতি। আলোচনা চলছে কার হাতে উঠতে যাচ্ছে চলতি মৌসুমের গোল্ডেন বুট শিরোপা। ইউরোপিয়ান ফুটবলে প্রতিটি লিগ নিজ নিজ লিগের শীর্ষ গোলদাতাদের পুরস্কৃত করে থাকে। আবার সব লিগ মিলিয়ে গোলের জন্য পাওয়া সর্বোচ্চ পয়েন্টধারী ফুটবলার পান গোল্ডেন বুট।
সোনার জুতোর এই লড়াই মূলত সীমাবদ্ধ থাকে শীর্ষ পাঁচ লিগের খেলোয়াড়দের মধ্যেই। গোলপ্রতি পয়েন্টের তারতম্যের জন্য এসব লিগের বাইরে কারো পক্ষে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট জয় করা বলতে গেলে অসম্ভব।
চলমান মৌসুমের ১০ মাসের ফলাফল পর্যবেক্ষণ করে এই পুরস্কার জয়ের সম্ভাব্য একটি তালিকা প্রকাশ করেছে জনপ্রিয় ফুটবল বিষয়ক ওয়েবসাইট গোলডটকম। যেখানে রাখা হয়েছে ১০৫ জনকে।
গোলডটকমের তালিকা অনুসারে গোল্ডেন বুট জয়ের ক্ষেত্রে বেশ এগিয়ে ম্যানচেস্টার সিটির নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ড। তিনি এখন পর্যন্ত মৌসুমে ২৮ গোল করে ৫৬ পয়েন্ট অর্জন করেছেন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন টটেনহ্যামের ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারিকেন। তিনি ২১ গোল করে ৪২ পয়েন্ট অর্জন করেছেন। টটেনহ্যাম ফরোয়ার্ড তিনবারের গোল্ডেন বুট বিজয়ী এবং ১৮০টিরও বেশি প্রিমিয়ার লীগ গোল করেছেন।
তৃতীয় স্থানে রয়েছেন নাপোলির ভিক্টর ওসিমেন। তিনি এখন পর্যন্ত ২০ গোল করে ৪০ পয়েন্ট অর্জন করেছেন। চতুর্থ স্থানে রয়েছেন ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। তিনি ১৯ গোল করে ৩৮ পয়েন্ট অর্জন করেছেন। একই সঙ্গে রয়েছেন লিলের জোনাথান ডেভিডও। তিনিও ১৯ গোল করে ৩৮ পয়েন্ট অর্জন করেছেন।
শীর্ষ দলে একমাত্র বার্সেলোনার ফুটবলার হিসেবে স্থান পেয়েছেন পোলিশ অধিনায়ক রবার্ট লেভানদোভস্কি। তিনি ১৭টি গোল করে ৩৪ পয়েন্ট অর্জন করেছেন। যিনি বিশ্বকাপের পর ক্লাব ফুটবল মাঠে গড়ানোর আগে ছিলেন দ্বিতীয় স্থানে।
শীর্ষ দশে পিএসজির এমবাপ্পে থাকলেও নেই নেইমার ও বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার মেসি। নেইমারের রয়েছেন ১৯তম স্থানে আর মেসি রয়েছেন ২১তম স্থানে। ইনজুরির কারণে চলতি মৌসুমে আর মাঠে নামতে পারবেন না ব্রাজিলিয়ান তারকা।
মোহাম্মদ সালাহর অবস্থান ৩২তম আর করিম বেনজেমা রয়েছেন ৩৪তম স্থানে। ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুটের শেষ দুটি শিরোপা জিতেছেন বার্সেলোনার পোলিশ অধিনায়ক লেভানদোভস্কি। যিনি তখন ছিলেন জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখে।
সূত্র – চ্যানেল২৪