প্রকাশ: ৭ মে, ২০২২ ১২:১১ : অপরাহ্ণ
বাংলাদেশের সমাজে বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়ে-ছেলের চেয়ে বয়সে ছোট হবে এটাই স্বাভাবিক হিসেবে ধরে নেয়া হয়। এর ব্যতিক্রম ঘটনাও ঘটছে। তবে সেক্ষেত্রে মেয়ে এবং ছেলের মধ্যে কোন সমস্যা না থাকলেও পরিবারের সদস্যের আপত্তি থাকে।
বয়সে ছোট পুরুষ বিয়ে করা এখন নতুন কোন বিষয় নয়, তারপরেও পরিবার, আত্মীয়-স্বজন বা আশে-পাশের মানুষের কাছে কটুকথা শুনতে হয় এখনো। ফলে অনেক সময় পরিবারগুলো যৌথ পরিবার ছেড়ে একক পরিবার থাকতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
তেমনি একজন ময়মনসিংহের সানজিদা। তারা প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন। তার স্বামী তার চেয়ে তিন বছরের ছোট। তবে তার বিয়ের কাবিনের সময় বরপক্ষ তার বয়স দেখার পর পরিস্থিতি এমন হয় যে বিয়েটাই ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। কিন্তু তার স্বামী অটল ছিল। কারণ তার স্বামী জানতো সানজিদা তার চেয়ে তিন বছরের বড়। বর্তমানে তাদের নিজেদের বোঝাপড়ায় কোন সমস্যা নেই।
স্বামীর বয়স স্ত্রীর চেয়ে কম। সংসার জীবনে তাদের কেউ কেউ সমস্যায় পড়ছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জানান, তার স্বামী তার চেয়ে বয়সে ছোট- এটা তার স্বামীর পরিবার প্রথম থেকেই মেনে নেয়নি। এখন তাদের একটি সন্তান আছে। এই সন্তানের দেখাশোনার কথা চিন্তা করেই তিনি এখনো যৌথ পরিবারে আছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জোবাইদা নাসরিন বলেন, মূলত তিন কারণে সমাজ বিয়ের ক্ষেত্রে বয়সে ছোট পুরুষকে মেনে নিতে পারে না পরিবারগুলো। এখানে প্রধান তিনটা বিষয় হচ্ছে, অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ, যৌনতার নিয়ন্ত্রণ আর নারীর সিদ্ধান্ত গ্রহণকে নিয়ন্ত্রণ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া একটা নারী যখন নিজেই সব নিজের দায়িত্ব নিতে পারার ক্ষামতা রাখেন তখন বিয়ের ক্ষেত্রে পুরুষ তার চেয়ে বয়সে বড় নাকি ছোট – সেটা বিবেচ্য বিষয় হয় না।
সূত্র: বিবিসি