প্রকাশ: ২ মার্চ, ২০২৩ ৩:৫১ : অপরাহ্ণ
ইন্টারকন্টিনেন্টাল ফিউচারস এক্সচেঞ্জে (আইসিই) অপরিশোধিত চিনির দাম কমেছে। এর আগে খাদ্যপণ্যটির দর ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছিল। গত ৬ বছরের মধ্যে যা ছিল সর্বোচ্চ। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে নাসডাকের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত মঙ্গলবার অপরিশোধিত চিনির আগামী মার্চের সরবরাহ মূল্য হ্রাস পেয়েছে শূন্য দশমিক ০১ শতাংশ। প্রতি পাউন্ডের দাম স্থির হয়েছে ২২ দশমিক ০৮ সেন্টে।
এর আগে বিগত ৬ বছরের মধ্যে রেকর্ড সর্বোচ্চে ওঠে অপরিশোধিত চিনির দর। পাউন্ডপ্রতি মূল্য নিষ্পত্তি হয় ২২ দশমিক ৩৬ সেন্টে।
লন্ডন এক্সচেঞ্চে আগামী মে মাসের সাদা চিনির সরবরাহ মূল্য নিম্নমুখী হয়েছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ। প্রতি পাউন্ড বিক্রি হয়েছে ৮ ডলার ৯০ সেন্টে। টনপ্রতি যার দর ৫৬২ দশমিক ৪০।
তবে সার্বিকভাবে বিশ্ববাজারে চিনির সরবরাহ কমেছে। ফলে খাদ্যপণ্যটির দাম ঊর্ধ্বমুখীই রয়েছে।
কিন্তু আশার বাণী শুনিয়েছেন পণ্যবাজার পরামর্শক প্রতিষ্ঠান দাতাগ্রোর পরিচালক গুইলহের্মে নাস্তারি। সম্প্রতি দুবাই সুগার সম্মেলনে তিনি বলেন, আসন্ন ২০২৩-২৪ বিপণন মৌসুমে ব্রাজিলের কেন্দ্র-দক্ষিণ অঞ্চলে চিনির উৎপাদন ১৩ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এসময়ে সেখানে ৩৮ মিলিয়ন টন চিনি উৎপাদিত হতে পারে।
বিশ্বের শীর্ষ চিনি উৎপাদক বাজিল। দেশটির জ্বালানি উৎপাদকারী প্রতিষ্ঠান রাইজেন এসএ প্রত্যাশা করছে, আগামী মৌসুমে ব্রাজিলের কেন্দ্র-দক্ষিণ অঞ্চলে উৎপন্ন আখের ৪৮ শতাংশ চিনি উৎপাদনে ব্যবহৃত হবে। তবে সেখানে উৎপাদিত আখের ৪৬ শতাংশ চিনি উৎপাদনে ব্যবহৃত হবে বলে রয়টার্সের এক জরিপে আভাস পাওয়া যায়।
উচ্চ মূল্য থাকা সত্ত্বেও ফ্রান্সে বিট উৎপাদন কমেছে। গত ১৪ বছরের মধ্যে যা সর্বনিম্ন। কীটনাশক বিধিনিষেধের কারণে ফসলের উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে দেশটিতে। এতে হতাশ কৃষকরা।
বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ চিনি রপ্তানিকারক ভারত। দেশটিতে প্রত্যাশার চেয়ে আখ উৎপাদন কম হয়েছে। ফলে রপ্তানি কমাতে পারে তারা। এতে মার্কেটে সরবরাহ কমতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পরিপ্রেক্ষিতে চিনির সরবরাহ বাড়িয়েছে দুবাইয়ের আল খালিজ সুগার। নিজেদের সক্ষমতার ৪০ শতাংশ এ নিয়ে কাজ করছে তারা।
সূত্র – চ্যানেল২৪