প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১১:২৬ : পূর্বাহ্ণ
বেড়েই চলেছে রসুন ও আদার দাম। কেজিতে ৫ টাকা কমলে, বাড়ছে ১০ টাকা। দাম উঠানামা করায় বাজারে গিয়ে গোলকধাঁধায় পড়ছেন ক্রেতারা। কয়েক মাস কম থাকা পেঁয়াজের দামও এখন বাড়তি। ২০০ টাকার বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে রসুন। চীন থেকে আনা আদার কেজিও প্রায় ৩০০ টাকা। ক্রেতাদের শঙ্কা, রোজা সামনে রেখে আরও বাড়িয়ে দেয়া হবে দাম।
আমদানি জটিলতা, ডলার সংকট, ঋণপত্র খোলা নিয়ে দীর্ঘসূত্রিতা কিংবা বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধি নানা অজুহাতে বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে দাম। এতে বাড়ছে ক্রেতার নাভিশ্বাস। কয়েক সপ্তাহ ধরেই ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে রসুন। খুচরা বাজারে প্রতিকেজির দাম ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। অথচ কেজিপ্রতি দাম ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে।
আদার দামও বাড়তি। আমদানি নির্ভর পণ্য হওয়ার কারণে ইচ্ছামতো দাম নেয়া হচ্ছে। পাইকারি বাজারে চীন থেকে আনা এককেজি আদার দাম এখন ২৮০ টাকা। আর মিয়ানমার থেকে আনা আদার কেজি ১০০ টাকার বেশি। খুচরা বাজারে দাম আরও বেসামাল।
ধীরে ধীরে বাড়ছে তুলনামূলক কম থাকা পেঁয়াজের দাম। খুচরা বাজারে পেঁয়াজের কেজি এখন ৪০ টাকার বেশি। অথচ কয়েকদিন আগেও বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকায়। বলা হচ্ছে রোজার পরই আরও বাড়বে এই পণ্যের দাম। ক্ষোভ প্রকাশ করে ক্রেতারা বলছেন, রোজা আসার আগে থেকেই মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা শুরু হয়ে গেছে। তাদের শঙ্কা, রোজার পর আর নাগালের মধ্যেই পাওয়া যাবে না নিত্য প্রয়োজনীয় এসব দ্রব্য।
আর মাত্র দেড় মাস পরই শুরু হচ্ছে রোজা। আর রোজা এলেই এই তিন পণ্যের চাহিদা বাড়ে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের শক্ত পদক্ষেপ দরকার বলে জানান ভোক্তারা।
সূত্র: যমুনা টিভি