কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবককে ‘পিটিয়ে হত্যা’
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:২৪ : অপরাহ্ণ
নারায়ণগঞ্জে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে আবু হানিফ নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয় কয়েকজন যুবক। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শেষে ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে। নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর এলাকায় এক শিশুকে (১১) ধর্ষণের অভিযোগে আবু হানিফ নামের এক যুবককে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে হত্যা অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবু হানিফ খুলনার বাগেরহাটের খন্তাকাটা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ও খানপুর এলাকার একটি বাড়ির দারোয়ান। গ্রামের বাড়িতে তার দুই মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রী বসবাস করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শহরের খানপুর এলাকার একটি ভবনের একজন ভাড়াটিয়ার মেয়েকে ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠে ভবনের দারোয়ান (নিরাপত্তাকর্মী) আবু হানিফের বিরুদ্ধে। রোববার রাতে শিশুটি তার মাকে এ বিষয়ে জানালে তিনি সোমবার দুপুরে স্থানীয়দের জানান। এ ঘটনায় ধর্ষণের অভিযোগে কয়েকজন স্থানীয় কয়েকজন যুবক তাকে খানপুর জোড়া ট্যাংকি এলাকায় নিয়ে পিটুনি দেয়। এতে সে গুরুতর আহত হলে তাকে খানপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের ভগ্নিপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম অভিযোগ করেন, তাকে ধরে নিয়ে খানপুর জোড়া ট্যাংকির নিচে নিয়ে যান কয়েকজন যুবক। সেখানে গিয়ে তাঁর শ্যালক আবু হানিফকে আটকে মারধর করার দৃশ্য দেখতে পান তিনি। এ সময় অভির লোকজন তাঁকেও চড়-থাপ্পড় মারেন। একপর্যায়ে তারা তাঁর শ্যালক হানিফকে অটোরিকশায় করে অন্যত্র নিয়ে যায়। পরে রাতে খবর পেয়ে খানপুর হাসপাতালে গিয়ে শ্যালকের মরদেহ দেখতে পান।
এ বিষয়ে খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহাদাৎ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, সোমবার বিকেল ৩টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় কয়েকজন যুবক হানিফকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে তার হাতে-পায়ে ক্ষত থাকায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলায় তারা হানিফকে রেখে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। রাত ৮টার দিকে হানিফের মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ তুলে এলাকার কয়েকজন যুবক হানিফকে মারধর করেছে বলে জানতে পেরেছি। পরে তার মরদেহ হাসপাতালে পেয়েছি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ওসি আরও বলেন, ‘ওই শিশুকে ধর্ষণ বা এর চেষ্টার কোনো অভিযোগ আমরা এখনও পাইনি। তাছাড়া এটা তদন্তের বিষয়। তদন্ত শেষে নিশ্চিত করে এ বিষয়ে বলা সম্ভব হবে।’