প্রকাশ: ৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১০:৪৭ : অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য চট্টগ্রাম ১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী গণমানুষের সংগঠন। দেশের আপামর জনতা এখন জামায়াতে ইসলামীর দিকেই তাকিয়ে আছে। দেশের সংকটময় সময়ে অধ্যাপক গোলাম আজম কেয়ারটেকার সরকার নির্বাচনের গণদাবি নিয়ে জনগণকে সম্পৃক্ত করেছিলেন, যা বাস্তবায়িতও হয়েছিল। একইভাবে বর্তমান জাতীয় সংকট মোকাবেলায় জামায়াতে ইসলামী জনগণের জন্য ৫ দফা গণদাবী উত্থাপন করেছে। এই দাবির পক্ষে তৃণমূলে জনমত সৃষ্টি করতে হবে। জুলাই সনদ ও পিআর পদ্ধতিসহ ৫ দফা গণদাবী আদায়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়স্থ (বিআইএ) মিলনায়তনে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের উদ্যােগে আয়োজিত আইনজীবীদের সাথে গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ৫ দফা গণদাবি মানুষের মাঝে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে আপনাদের ভূমিকা রাখতে হবে। আমরা ভেবেছিলাম ৫ আগস্টের পরে সব রাজনৈতিক দল স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হবে, কিন্তু কিছু দল স্বৈরাচারের পক্ষাবলম্বন করছে, এতে দেশের জনগণ হতাশ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অধ্যাপক গোলাম আজমের কেয়ারটেকার সরকার নির্বাচন পদ্ধতির মতোই বর্তমান সংকটে জামায়াতে ইসলামীর ঘোষিত ৫ দফা গণদাবিও এই দেশে বাস্তবায়িত হবে, ইনশাআল্লাহ। তাই আসুন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান ও ৫ দফা গণদাবির পক্ষে জনমত গঠনে ভূমিকা রাখি এবং স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকি।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে চট্টগ্রাম মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমীর পরিবেশবিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় শূরার সদস্য চট্টগ্রাম মহানগরীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশারের সঞ্চালনায় উক্ত মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য চট্টগ্রাম মহানগরীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ, মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও চট্টগ্রাম ১০ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, এডভোকেট শামসুল আলম, এডভোকেট আবু তাহের, এডভোকেট জিয়াউর হক, এডভোকেট শাহাদাত হোসেন, এডভোকেট আব্দুল্লাহ গালিব, এডভোকেট ফরিদুল আলম, চৌধুরী, এডভোকেট ফজলুল বারী প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমীর পরিবেশবিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীরা আন্দোলনে বরাবরই সোচ্চার ছিলেন। মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশেষভাবে ফ্যাসিবাদের লুণ্ঠিত ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে সকল আন্দোলনেই আইনজীবীদের গৌরব্বোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। রাজনৈতিক পরিচয় ও মতের উর্ধ্বে উঠে দেশ ও জনগণের স্বার্থে আইনজীবীরাই সবচেয়ে বেশি ঐক্যবদ্ধ হতে পেরেছেন। শহীদ সাইফুল ইসলাম আলিফের রক্তমাখা স্মৃতি বিজড়িত চট্টগ্রাম বারের আইনজীবীরা ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লব টেকসই করতে এখনো জোরদার ভূমিকা রাখবেন আশা করছি।
তিনি আরও বলেন, জামায়াতের ঘোষিত ৫ দফা গণদাবি-জুলাই সনদের আইনী মর্যাদা, পিআর সিস্টেমে জাতীয় নির্বাচন, পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, লুটেরা-খুনী স্বৈরাচার ও দোসরদের দৃশ্যমান বিচার এবং সকল দলের সমান সুযোগ নিশ্চিত করে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে আইনজীবীরা জোরালো ভূমিকা রাখবেন আশা করছি। একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামেও আইনজীবীদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।
উক্ত গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন নগর কর্মপরিষদ সদস্য, ডা. মুহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান, হামেদ হাসান ইলাহী, প্রফেসর মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, আমির হোছাইন, এডভোকেট আরিফ, এডভোকেট মিনহাজ উদ্দিন, এডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, এডভোকেট আবুল কামাল আযাদ, এডভোকেট আব্দুল মুকিন, এডভোকেট আশরাফ সিদ্দিকী প্রমুখ।